রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
১ নম্বর নতুন ফুলিয়ার সরকারপাড়া গ্রামবাসী বৃন্দের পরিচালনায় এবছর থিম বন পাহাড়ের বনদেবী। জোরকদমে চলছে মণ্ডপ তৈরির কাজ। তাদের মণ্ডপের চিন্তাভাবনায় রাখা হয়েছে একটি পাহাড় ঘেসে থাকা আদিবাসীদের গ্রাম এবং তাদের জীবন যাপন ও শিকারের পদ্ধতি। সেখানে জীবন্ত থিমে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষদের রাখা হবে। পাশাপাশি পুজোর কটা দিন প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকবে সাঁওতালি নৃত্য। শান্তিপুরের শিল্পী আনন্দ প্রামাণিকের চিন্তাভাবনা ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে এই থিমের ভাবনা। বাঁশের উপর বস্তা ও খড় দিয়ে তার ওপর হোয়াইট সিমেন্ট লাগিয়ে ধীরে ধীরে চলছে মণ্ডপ সজ্জার কাজ। পুজো কমিটির সম্পাদক সোমনাথ প্রামাণিক এবং সভাপতি কুশ সরকার বলেন, এবার আমাদের পুজো ৪৮তম বছরে পদার্পণ করল। আমাদের পুজোর বাজেট কমবেশি সাড়ে তিন লক্ষ টাকা।
ফুলিয়ার চটকাতলা এলাকার নেতাজি সংঘের ময়দানের এবছরের থিম ভূটানের একটি ধর্মীয় স্থাপত্য চর্টেন টেম্পল। ভূটানের থিম্পু শহরে বৌদ্ধ মন্দির মেমোরিয়াল চর্টেনের আদলে এখানকার থিম ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। কাপড়ের ওপর থার্মোকলের কাজ করে থিমকে বাস্তবের রূপ দেওয়া হচ্ছে। মণ্ডপের সঙ্গে সমতা রেখেই সাবেকি ধাঁচের প্রতিমা রাখা হচ্ছে। ১৯৭৪ সালে এই পুজো শুরু হয়। চলতি বছর ৪৫তম বর্ষে পদার্পণ করল এই পুজো। পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শচীন বসাক ও সুকুমার বসাক বলেন, প্রতিবছরই নতুন বিষয়ের উপর আমরা থিমের কাজ করছি। এবছর আমাদের পুজোর বাজেট তিন লক্ষ টাকা।
ফুলিয়ার চটকাতলা পালপাড়া বারোয়ারির এবারের চিন্তায় মহিষাসুরমর্দিনী। যেখানে মণ্ডপের ভিতরেই স্টেজ তৈরি করে পুজোর কটাদিন অভিনয়ের মাধ্যমে মহিষাসুরমর্দিনীর বিশেষ শো দেখানো হবে। একটি বাড়ির আদলে তৈরি করা হচ্ছে তাদের পুজো মণ্ডপ। পালপাড়া বারোয়ারির ২৯তম বর্ষে প্রতিমা তৈরি হচ্ছে সাবেকি ভাবধারায়। মণ্ডপের পাশাপাশি আলোকসজ্জার দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। কমিটির সম্পাদক তরণীকুমার পাল এবং যুগ্ম সভাপতি রমণীকুমার পাল ও হরিপদ সরকার বলেন, এবছরের পুজোয় গ্রামবাসীবৃন্দের পরিচালনায় প্রায় ৫ লক্ষ টাকা বাজেট ধরা হয়েছে। পুজো সকলের নজর কাড়বে বলে আমাদের আশা।