বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সিউড়ি শহরের দমকল কেন্দ্রে ফায়ার রিক্রিয়েশন ক্লাবের উদ্যোগে বিশ্বকর্মা পুজোয় পল্লি বাংলার থিম তৈরি করা হয়েছে। দমকলের এক কর্মী বলেন, খড়, চট প্রভৃতি সামগ্রী দিয়ে ওই থিম তৈরি করা হয়েছে। এমনকী, থিমের সামগ্রীতে সচেতনতা আনতে অগ্নি নির্বাপণ কেমিক্যাল স্প্রে করা হয়েছে। যার ফলে অগ্নি সংযোগ হলেও তা ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারবে না। তাই এধরনের সামগ্রী ব্যবহার করে পুজোমণ্ডপ তৈরি করতে ওই ধরনের কেমক্যিাল ব্যবহারের সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া দমকল কেন্দ্রে এই পুজোয় অগ্নি নির্বাপণের সচেতনতামূলক প্রদর্শনীও করা হয়েছে। বাড়িতে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার থেকে অগ্নি সংযোগ হলে কী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, সদাইপুরে বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিতরে একাধিক ছোট-বড় মণ্ডপের বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। তার মধ্যে কেন্দ্রের অপারেশন বিভাগের উদ্যোগে এবার চন্দ্রযান-২ থিম করা হয়েছে। ইসরোর তৈরি চন্দ্রযান-২ উৎক্ষেপনের দৃশ্য থিমের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। উদ্যোক্তাদের পক্ষে তন্ময় সাহা বলেন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিতরে বিভিন্ন বিভাগের উদ্যোগে প্রায় ১৮টি পুজো হচ্ছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়। লরি শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে সাঁইথিয়া শহরেও একটি পুজোমণ্ডপে ঘূর্ণিঝড় ফণী-র আদলে থিম করা হয়েছে। জেলার বৃহত্তম পাথরবলয় পাঁচামিতেও এদিন বিশ্বকর্মা পুজো হয়েছে। এছাড়া সিউড়ি শহরের মৌমাছি কালীমন্দিরেও এদিন বহু বাসিন্দা তাঁদের যানগুলির পুজো করিয়েছেন। প্রশাসনিক ভবনের বিভিন্ন দপ্তরেও বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করা হয়।
শিল্পের দেবতার আরাধনায় মেতে উঠেছে রামপুরহাট মহকুমাও। প্রতিবছরের মতো এবছরও রামপুরহাট স্টেশন চত্বরে রেলের পক্ষ থেকে বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। অন্যদিকে, লাগোয়া এলাকায় আইএনটিটিইউসি সমর্থিত অটো ইউনিয়ন মণ্ডপ গড়ে মূর্তি পুজোর আয়োজন করে। রামপুরহাট পুরসভাতেও শিল্পের দেবতার আয়োজনে মেতে উঠেছিলেন সমস্ত কর্মী। তারাপীঠে টিআরডিএ অফিসে শিল্পের দেবতার পুজোর আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন টিআরডিএর চেয়ারম্যান তথা কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, ভাইস চেয়ারম্যান সুকুমার মুখোপাধ্যায়। নলহাটি স্টেশন চত্বরেও রেলের পক্ষ থেকে এই পুজো করা হয়েছে। বিদ্যুৎ দপ্তরের নলহাটি সাবস্টেশনেও বেশ কয়েকবছর ধরে বিশ্বকর্মার আরাধনা হয়ে আসছে। এবারও তার অন্যথা হয়নি। মুরারই স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় মূর্তি পুজোর আয়োজন করে শ্রমিক সংগঠন। এছাড়া নলহাটি, রামপুরহাট ও রাজগ্রাম পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকায় জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে বিশ্বকর্মার আরাধনায় মেতে ওঠে অসংখ্য মানুষ। সর্বত্র খিচুড়ি প্রসাদ খাওয়ানো হয়।
অন্যদিকে, বোলপুর মহকুমাতেও সাড়ম্বরে বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। বোলপুর শহরের হাটতলার মাছবাজারে আয়োজিত বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে বাসিন্দাদের ভিড় উপচে পড়ে। বোলপুর বাসস্ট্যান্ড, টোটো স্ট্যান্ড প্রভৃতি জায়গায় ধুমধাম করে বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করা হয়।