পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মৃতের স্ত্রী লক্ষ্মী হালদার বলেন, বাড়িতে ৯ বছরের এক ছেলে এবং ৭ বছরের এক মেয়ে রয়েছে। আমরা অথৈ জলে পড়ে গেলাম। স্বামীর কোনও শত্রু ছিল না। এদিকে জেলায় পরপর শ্যুট আউট হওয়ায় পুলিস চাপে পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে তারা মুখে কুলুপ এঁটেছে। অতিরিক্ত পুলিস সুপার অনীশ সরকারও কিছু বলতে চাননি। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে জেলা সদরেই এক যুবককে হাত, পা বেঁধে পিটিয়ে মারা হয়। জনবহুল রাস্তার পাশে বহরমপুর শহরের মধ্যে ওই ঘটনা হলেও পুলিস গণপিটুনি আটকাতে ব্যর্থ হয়। ওই ঘটনায় কয়েকজন গ্রেপ্তার হলেও অন্য অভিযুক্তরা অধরা রয়েছে। রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বহরমপুরে এসে বলেন, নিহত যুবকের বাড়িতে কোনও আধিকারিক যাননি। পুলিসের আরও বেশি সক্রিয় হওয়া উচিত ছিল। অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।
পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জেলায় বেআইনি অস্ত্রের ভাণ্ডার গড়ে উঠেছে। চলতি মাসেই একাধিক শ্যুট আউটের ঘটনা হয়েছে। রবিবার রাতে কান্দি থানার বেণীপুর গ্রামে এক ছাত্রকে গুলি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। নওদায় এক স্কুল শিক্ষক তথা তৃণমূল নেতাকে কাছে থেকে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়। তার কিছু দিন আগে কান্দিতে আরেক তৃণমূল নেতাকে খুন করা হয়। খড়গ্রামের এক তৃণমূল নেতা গুলিবিদ্ধ হন। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সারগাছি এলাকায় চলতি সপ্তাহে এক গৃহবধূর বাড়িতে ঢুকে এক দুষ্কৃতী শূন্যে এলোপাথাড়ি গুলি করে। ওই গৃহবধূর পিঠে গুলির ছররা লাগে। জেলার বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিসের নিষ্ক্রিয়তার জন্যই জেলায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে চলছে। মাঝেমধ্যে পুলিস কিছু অস্ত্র উদ্ধার করে নিজেদের সাফল্য জাহিরের চেষ্টা করলেও অধিকাংশ আগ্নেয়াস্ত্রই এখনও দুষ্কৃতীদের কাছে রয়ে গিয়েছে। জেলায় প্রচুর অস্ত্র মজুত থাকায় ছোট কারণেও গুলি চলছে।
স্থানীয়রা বলেন, চা দোকানের মালিক তরুণবাবু ছোট কোনও কারণেই কোন খুন হতে পারেন। কোনও কিছু নিয়ে কারও সঙ্গে বচাসায় জড়িয়ে তিনি চক্ষুশূল হতে পারেন। সেকারণেই এই মর্মান্তিক পরিণতি বলে অনেকেই মনে করছেন। যদিও পুলিস এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে। এক আধিকারিক বলেন, ওই রাতে ফিস্টে থাকা অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলা হবে। ফিস্ট চলাকালীন কোনও কিছু নিয়ে কারও সঙ্গে বচসা হয়েছিল কিনা সেটাও খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বাড়ি না গিয়ে রাতে সেখানেই বা কেন থেকে গেলেন সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।