রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বড়জোড়া শিল্পাঞ্চল এলাকার শ্রমিক নেতা আলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, হাতেগোনা কয়েকটি কারখানা বাদে বড়জোড়া শিল্পাঞ্চলে মূলত স্টিল কারখানার সংখ্যাই বেশি। কিন্তু নোট বন্দি, জিএসটির ধাক্কায় দেশজুড়ে আর্থিক মন্দা শুরু হয়েছে। ফলে এখানকার অধিকাংশ কারখানাই উৎপাদন কমাতে বাধ্য হয়েছে। তবু হতাশা কাটিয়ে আগামীদিনে ফের বাজার চাঙ্গা হওয়ার আশায় অন্যান্য বারের মতোই ধুমধাম করে বিশ্বকর্মার আরাধনায় সেজে উঠেছে শিল্পাঞ্চল।
প্রসঙ্গত, বড়জোড়ার ঘুটগড়িয়ায় প্লাস্টো ও স্টিল পার্কে ছোটোবড় মিলিয়ে প্রায় ৪৫টি কারখানা রয়েছে। এছাড়াও ঘুটগড়িয়া, বড়জোড়া ও আসুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আরও ২৭টি ছোটো বড় কারখানা রয়েছে। মন্দার কারণে বিক্রি কমে যাওয়ায় দেশের বহু গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা উৎপাদন কমাতে বাধ্য হয়েছে। তার ব্যতিক্রম নয় বাঁকুড়ার বড়জোড়া শিল্পাঞ্চল। মূলত স্টিল ও প্লাস্টিক সামগ্রীর উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত এই শিল্পাঞ্চলেও উৎপাদিত পণ্যের একটা বড় অংশ গাড়ি তৈরির কাজে ব্যবহার করা হতো। স্বাভাবিকভাবেই গাড়ির বিক্রি কমে যাওয়ায় এখানকার উৎপাদিত সামগ্রীর বিক্রি কমেছে। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে কারখানাগুলি ২০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত উৎপাদন কাটছাঁট করতে বাধ্য হয়েছে। তবে সেজন্য শিল্পের দেবতার পুজোর তার প্রভাব পড়বে না বলেই জানিয়েছেন কারখানার আধিকারিকরা।
স্টিল পার্কের এক কারখানার মালিক সুজিত মেহেতা বলেন, দেশজুড়ে শিল্পে যেভাবে মন্দা চলছে এখানেও তার প্রভাব পড়েছে। আমাদের উৎপাদিত পণ্যের একটা বড় অংশ গাড়ি শিল্পের কাজে ব্যবহার হয়। তাই বর্তমানে চাহিদা কমে যাওয়ায় উৎপাদন প্রায় ৫০ শতাংশ কমাতে বাধ্য হয়েছি। তবে পুজোর মরশুম কাটার পরেই বাজারে চাহিদা বাড়বে বলে আমরা আশা করছি। পুজোর পরেই ফের বাজার চাঙ্গা হোক শিল্প দেবতার কাছে আমরা এই প্রার্থনা জানাতে চাই।
আসুড়িয়ার একটি কারখানার মালিক অরুণ আগরওয়াল বলেন, মন্দার বাজারে আমরাও প্রায় ২০ শতাংশ উৎপাদন কমাতে বাধ্য হয়েছি। তবে চাহিদা না থাকায় উৎপাদন কমলেও শিল্পাঞ্চলের বিশ্বকর্মা পুজোয় তার তেমন কোনও প্রভাব পড়বে না। কারণ বছরে একটা দিন শ্রমিকরা যন্ত্র দেবতার পুজোর মাধ্যমে কারখানায় একটু আনন্দ করেন। তাই পুজোর বরাদ্দে আমরা কোনও কাটছাঁট করছি না।