কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রসঙ্গত, মাস খানেক ধরেই সিউড়ি শহরের সভাপতি পদে রদবদল হতে পারে এমনই আশঙ্কা করছিলেন দলের কর্মীরা। গত বারের জেলা কমিটির বৈঠকে শহর সভাপতি পদ থেকে অভিজিৎবাবুকে সরানোর জন্য দলের একাংশ আবেদন জানায়। সেই বৈঠকে অবশ্য তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। কিন্তু এদিন দলের জেলা কমিটির বৈঠকে শহর সভাপতি পদ নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা তৃণমূল। এছাড়া সিউড়ি পুরসভায় অনাস্থা প্রস্তাব ঘিরেও চাপানউতোর চলছিল। সেক্ষেত্রে পুরসভা ভোটের মুখে দলের মুখ স্বচ্ছ রাখতে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব তাতে ধামাচাপা দিয়েছে। এদিন নতুন শহর সভাপতি নির্বাচনের ঘটনায় দলের মধ্যে ফের বিভাজন সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন নিচুতলার কর্মীরা। তাই সিউড়িতে আগামী পুরসভা ভোটের জল কোন দিকে গড়ায় সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।
নব নিযুক্ত সিউড়ির শহর সভাপতি অভয় ভট্টাচার্য বলেন, তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে রয়েছি। ছাত্র, যুব সভাপতি ছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ মেনে দল করি। জেলা সভাপতি যেমন নির্দেশ দেবেন তা পালন করব। অন্যদিকে, তবে তার আগে পুজোয় জন সংযোগ বাড়াতে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল।
তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ বলেন, দুর্গাপুজো উপলক্ষে প্রত্যেক শহর ও ব্লকে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়ে স্বাগতম গেট তৈরি করা হবে। পুজোয় দলের নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণের জন্যও বলা হয়েছে।
তৃণমূলের এক জেলা স্তরের নেতা বলেন, বীরভূমে বিজেপি গত কয়েকদিন ধরে একাধিক কর্মসূচি করেছে। তাই বিজেপির পাল্টা কর্মসূচি করতেও তৃণমূল ময়দানে নামতে চলেছে। তবে সামনে শারদোৎসব থাকায় তৃণমূল এই সময় মানুষকে সেভাবে বিরক্ত করতে চাইছে না। পুজো মিটলেই লাগাতার প্রচার কর্মসূচিতে নামা হবে। সেইসব সভাগুলিতে অনুব্রত মণ্ডলই প্রধান বক্তা হবেন। তাঁর নেতৃত্বে জেলায় বিজেপিকে ধরাশায়ী করতে একাধিক স্ট্র্যাটেজি নেওয়া হবে বলে দাবি।