পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তিনি বলেন, গত বছর হলদিয়ার বিশ্বকর্মা পুজো কমিটিগুলি সবাই মিলে সামাজিক কাজে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার মতো জনসেবা করেছিল। কোনও শিল্পসংস্থার পুজো কমিটি বস্তিবাসীদের জন্য দিয়েছে টেবিল ফ্যান, কেউ ডেঙ্গু রোধে মশারি দিয়েছে, কোনও পুজো কমিটি আবার দিব্যাঙ্গদের দিয়েছে হুইল চেয়ার। কোনও পুজো কমিটি পুর এলাকার কঠিন রোগে আক্রান্ত গরিব মানুষের জন্য চিকিৎসা তহবিলও খুলেছে। গত কয়েক বছর ধরে এই ধরনের সামাজিক কাজের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। শুধু বড় পুজো কমিটিগুলিই নয়, ছোট থেকে বড়, সব পুজো কমিটিই কম বেশি এই বিষয় নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে। এটা খুবই ভালো লক্ষণ।
শুভেন্দুবাবু জানান, টাটাদের সংস্থা টাটা মারট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লজিস্টিকস লিমিটেড (টিএমআইএলএল) হলদিয়া বন্দরে ১২ নম্বর বার্থে স্বয়ংক্রিয় ক্রেনের সাহায্যে পণ্য ওঠানো নামানোর কাজ করে। বন্দরে নিরাপত্তা ক্ষেত্রে এই সংস্থা এবছর ন্যাশনাল সেফটি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। পর পর দু’বছর তারা এই পুরস্কার পেল। এটি হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের ক্ষেত্রে গর্বের বিষয়। এই সংস্থা এবছর নিজেদের বার্থ থেকে ২ মিলিয়ন এবং অন্যান্য বার্থ থেকে আরও ২ মিলিয়ন মিলিয়ে মোট ৪ মিলিয়ন কার্গো হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ করে রেকর্ড গড়েছে।
সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচিতে (সিএসআর) টিএমআইএলএল হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে ৩৫ লক্ষ টাকা খরচ করে ফিমেল ওয়ার্ড ও পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ডের আধুনিকীকরণ করছে। এই কাজ প্রায় শেষের পথে। ২অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্ম সার্ধশতবর্ষে যা সামাজিক কল্যাণে উৎসর্গ করা হবে। এছাড়াও নিমতৌড়ির দিব্যাঙ্গদের স্কুলে প্রশিক্ষণ ও স্বনির্ভতা কেন্দ্র গড়ার জন্য ৩০ লক্ষ টাকা দিয়েছে তারা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামলকুমার আদক। এদিন দিব্যাঙ্গদের ব্যাটারিচালিত হুইলচেয়ার তুলে দেন মন্ত্রী ও পুরসভার চেয়ারম্যান।
এবছর বিশ্বকর্মা পুজোয় আইওসি ও পেট্রকেমের পুজো কমিটি সবচেয়ে বড় সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছে। পুজো কমিটিগুলি দুঃস্থ রোগীদের চিকিৎসা প্রদান, মা ও শিশুদের প্রোটিনজাতীয় খাবার দেওয়া এবং চারাগাছ বিতরণের উপর জোর দিয়েছে। আইওসি ১ নম্বর গেটের এইচআরসিএসএসএস অ্যান্ড ওয়ার্কমেন্স বিশ্বকর্মা পুজো কমিটির অন্যতম কর্তা সত্যরঞ্জন সাহু ও শেখ নূর হোসেন বলেন, এবছর পুজো মণ্ডপ থেকে ১০ লক্ষ টাকার সামাজিক কর্মসূচি পালন করা হবে। ৩২টি প্রাইমারি স্কুলের ৪০০০ পড়ুয়াকে খাতা ও পেন দেওয়া হবে। ৪০জন দুঃস্থ মেধাবীকে ৫০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। ক্যান্সার ও থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য ২লক্ষ টাকার তহবিল রয়েছে। দিব্যাঙ্গদের ব্যাটারিচালিত হুইলচেয়ার দেওয়া হবে। এছাড়া পুজো উপলক্ষে সারা বাংলা মহিলা ও পুরুষ রোড রেস হচ্ছে।
পেট্রকেমের ওয়ার্কার্স এমপ্লয়িজ অ্যান্ড কনট্রাক্টর্স বিশ্বকর্মা পুজো কমিটি একইভাবে থ্যালাসেমিয়া, ডায়ালেসিস ও ক্যান্সার রোগীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া ও কয়েক হাজার নারকেল চারা বিতরণের ব্যবস্থা করেছে। কোনও পুজো কমিটি আবার বিনামূল্যে চোখের পরীক্ষা ও চশমা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। সেই কমিটির তরফে টোটো নিয়ে চলছে পাড়ায় পাড়ায় মাইকে প্রচার।