কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কেশপুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সঞ্জয় পান বলেন, ডলং দলীয় কার্যালয়ে কয়েকজন কর্মী বসেছিল। বিজেপির লোকজন এসে হামলা চালায়। আমাদের দু’জন কর্মীর বাড়িতেও ওরা চড়াও হয়। ওদের হামলায় চারজন জখম হয়েছে। কাটমানির নাম করে ওরা এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। পুলিস প্রশাসনকে বাধা দিয়েছে। পরে, এলাকায় বিশাল পুলিস বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে।
কয়েকদিন আগেই আনন্দপুর থানা এলাকায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে কাটমানি পোস্টার পড়েছিল। এদিন ডলং গ্রামে স্থানীয় একাধিক নেতার নাম দিয়ে কাটমানির পোস্টার দেওয়া হয়। তাতে কয়েকজন নেতার নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে, আগে কাটমানির টাকা ফেরত দিন, তারপর অফিস খুলুন। না হলে অফিস বন্ধ থাকবে। আরও একটি পোস্টারে লেখা রয়েছে, ৫২ লক্ষ টাকা ফেরত দাও। পোস্টারের নীচে গ্রামবাসী বলে উল্লেখ রয়েছে। নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দলের নাম নেই। তবে, স্থানীয় বিজেপি নেতা আশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে রয়েছি। তাঁরা কাটমানির টাকা ফেরত চেয়েছেন। আসলে এই এলাকায় ঘর দেওয়ার নাম করে, শৌচাগার তৈরি করার নাম করে বাড়ি বাড়ি শাসক দলের নেতারা টাকা তুলেছে। গ্রামবাসীরা আমাদের পাশে পেয়ে বুকে বল পেয়েছেন। তাঁরা এখন টাকা ফেরত চেয়ে পোস্টার দিয়েছেন। আর এই কাটমানির পোস্টার দেওয়ার পর রাতেই পুলিস এলাকায় ঢোকে। গ্রামবাসীরা কিছুটা বাধা দিয়েছিলেন। পরে, আরও পুলিস এসে গ্রামবাসীদের মারধর করে। মহিলারা জখম হয়েছে। বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
বেনু পাতর নামে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলেন, ওরা রাজনীতি করার জন্য কাটমানির অভিযোগ করছে। পোস্টারে ওরা আমার নামও লিখেছে। আমি কত টাকা খেয়েছি ওরা প্রমাণ দিক। আসলে ওরা এলাকায় আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এসব করছে। এই এলাকায় কাটমানি নেওয়ার কোনও অভিযোগ নেই। সবই ভিত্তিহীন।