দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
এদিন ঘটনার খবর পেয়েই বিজেপির জেলা নেতারা হাসপাতালে ছুটে আসেন। জখমের বাড়িতেও যান। এলাকায় গিয়ে খোঁজখবর নেন। তৃণমূলের স্থানীয় কয়েকজন নেতাকেও হাসপাতালে দেখা গিয়েছে। বিজেপির দুই জেলা সহ সভাপতি গৌতম ভট্টাচার্য ও প্রেমচাঁদ ঝা বলেন, খড়্গপুর বিধানসভার উপনির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, গুলিগোলার ঘটনা তত বাড়ছে। তৃণমূলের শহর সভাপতি রবিশঙ্কর পাণ্ডে বলেন, শুনেছি এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে। পুলিস তা কড়া হাতে দমন করবে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবলপুরের বাসিন্দা সিরাজ সাঁকরাইল থেকে টাকা আদায় করে এদিন বাসে করে বাসস্ট্যান্ডে এসে নামেন। তারপর তিনি অটো রিকশ করে গোলবাজার এলাকায় আসেন। সেখান থেকে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। এই সময় ভবানীপুরের কাছে তাঁকে দুষ্কৃতীরা ঘিরে ধরে। তারা সংখ্যায় তিনজন ছিল। একটি বাইকে করে এসে তাঁকে ঘিরে ধরে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়া চেষ্টা করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানেত পেরেছে, দুষ্কৃতীদের সঙ্গে তাঁর ধস্তাধস্তি হয়। এই সময় দুষ্কৃতীদের মধ্যে একজন গুলি চালায়। সেই গুলি তাঁর পায়ে লাগে। দুষ্কৃতীরা ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। ব্যাগে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা ছিল। জখমের ভাই সামিম মহম্মদ বলেন, দাদা এক মাছ ব্যবসায়ীর টাকা আদায়ের কাজ করেন। মাছ ব্যবসায়ী মহম্মদ ইজাজ বলেন, উনি আমার ব্যবসার টাকা আদায়ের কাজ করেন। এদিন সাঁকরাইল থেকে টাকা আদায় করে ফিরছিলেন।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন দিন আগে শহরের বোগদা এলাকায় রেলের ঠিকাদারিকে কেন্দ্র করে গুলি চলার অভিযোগ পাওয়া যায়। সেই ঘটনায় অবশ্য কেউ হতাহত হননি। তার এক সপ্তাহের মাথায় শহরের মালঞ্চ এলাকায় গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। জমির দালালিকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে এই ঘটনা বলে জানা যায়। তাতেও অবশ্য কারও জখম হওয়ার খবর নেই। তবে অল্পের জন্য একজন বেঁচে যান। তার এক সপ্তাহের মাথায় এদিন আবার গুলি চলল। স্বাভাবিকভাবেই শহরের বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন।