দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে হলদিয়ায় ২৪নম্বর ওয়ার্ডের খালপাড় মাতঙ্গিনী বস্তি এলাকায় সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে প্রতিবেশী সুজন বেরা ধর্ষণের পর খুন করে বলে অভিযোগ। মাসখানেক আগেই বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তি নিজের মেয়ের বিয়ে দিয়েছে। ওই ব্যক্তি লোডিং আনলোডিংয়ের কাজ করার পাশাপাশি কীর্তন দলে শ্রীখোল বাজিয়ে উপার্জন করে।
কিশোরী ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে সমস্ত রাজনৈতিক দলই। রাজ্যের বিরোধী ও শাসকদল সকলেই এঘটনায় দোষীর উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে। এদিন মৃত ছাত্রীর বাড়ি যান হলদিয়ার বিধায়ক তথা সিপিএম নেত্রী তাপসী মণ্ডল। তিনি ওই ছাত্রীর শোকবিহ্বল পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের সান্ত্বনা দেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সিপিএমের দুই জেলা নেতা পরিতোষ পট্টনায়ক ও অচিন্ত্য শাসমল এবং স্থানীয় মহিলা সমিতির নেত্রী রিনা পাহাড়ি ও শুভশ্রী সামন্ত।
সিপিএমের বিধায়ক বলেন, এই ধরনের বর্বরোচিত ঘটনায় ধিক্কার জানাচ্ছি। দোষীর কঠোর শাস্তির দাবি জানাই। ছাত্রীর পরিবার খুবই দরিদ্র। তাদের সমস্ত রকম আইনি সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
হলদিয়া শহর তৃণমূলের সভাপতি তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মধুরিমা মণ্ডল বলেন, এই ঘটনার নিন্দার কোনও ভাষা নেই। ছাত্রীর পরিবারকে সমবেদনা জানাই। শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে রয়েছি আমরা।
এদিকে, খুনের ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে মাতঙ্গিনী বস্তি ও আশপাশের এলাকা। সারা পাড়া থমথমে। এমন বর্বরোচিত ঘটনার পর কার্যত বাকরুদ্ধ বস্তির মানুষজন। বাড়ির দাওয়ায় দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে উদাস দৃষ্টিতে বসে আছেন মৃত কিশোরীর মা। বড় ছেলে মানসিক প্রতিবন্ধী। ছোট মেয়ের বয়স বছর ছয়েক। তারা কিছুই বুঝতে পারছে না। দু’দিন বাড়িতে হাড়ি চড়েনি। প্রতিবেশীরাই রান্না করে এনে খাওয়ার ব্যবস্থা করছেন।
এই ঘটনার কথা শুনে হলদিয়ার আজাদহিন্দ নগর, টাউনশিপ সহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা, দোকানদাররাও হতবাক। তাঁরা বলেন, ওই মেয়েটিকে আমরা অনেকেই চিনতাম। প্রাণোচ্ছ্বল স্বভাবের গরিব মেয়েটি প্রায়ই কারও বাড়িতে কাজ করে দিয়ে একটু খাবার চাইত। স্থানীয় আবাসনের বাসিন্দারা বলেন, ভোরে উঠে গাছ থেকে ফুল তুলে মালা গেঁথে এনে বিক্রি করত। সামান্য টাকা দিলেই বলত ভাইবোনের জন্য খাবার কিনবে।
ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার পর শিল্পশহরে মহিলাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে সরব হয়েছে সাধারণ মানুষ থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। পুলিসি নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সকলেই। বিজেপি নেতা প্রদীপ বিজলি বলেন, মহিলাদের সুরক্ষা দেওয়ার সময় নেই পুলিসের। মৃত ছাত্রীর পরিবারকে সবরকম সহযোগিতা করব।