দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, নানুরে বিজেপি সমর্থক স্বরূপ গড়াইকে গুলি করে খুনের ঘটনায় গত সোমবার থেকে বিজেপি এসপি অফিসের সামনে ধর্নায় বসে। শনিবার তাঁদের ধর্না ষষ্ঠদিনে পড়ে। রবিবার পর্যন্ত ওই ধর্না মঞ্চ চলার কথা থাকলেও ওইদিনই পুলিস ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে বলে তাঁদের উঠে যেতে আবেদন জানায়। কিন্তু, বিজেপি নেতৃত্ব সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি। উল্টে পুলিসের কর্তাদের সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের বচসা বেধে যায়। তার জেরে পুলিস বিজেপির ৪২জনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের পুলিস সিউড়ি ও সদাইপুর থানায় নিয়ে যায়। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত সেখানেই তাঁদের রাখা হয়। বিজেপির অন্য কর্মী-সমর্থকরা গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে রাস্তা অবরোধ করেন। তার জেরে সিউড়ি-বোলপুর, সিউড়ি-দুবরাজপুর ও সিউড়ি-রামপুরহাট রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেই অবরোধে শামিল হন দলের রাজ্য নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে পুলিসের আশ্বাসে বিজেপি অবরোধ তুলে নেয়। ঘটনার খবর পেয়ে বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ সদাইপুর থানায় দেখা করতে যান। সেখান থেকে তিনি অবশ্য কলকাতায় ফিরে যান। এরপর গভীর রাতে বিজেপির জেলা সভাপতি তথা অন্য নেতা-কর্মীদের সদাইপুর থেকে সিউড়ি থানায় নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকেই ৪২জনকে ব্যক্তিগত বন্ডে ছেড়ে দেওয়া হয়। মুক্ত হওয়ার পর থানায় অভ্যর্থনা জানান বিজেপির বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের সংসদ সদস্য সৌমিত্র খাঁ।
বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদবাবু বলেন, পুলিস আমাদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে। ধর্না মঞ্চ যাতে আর চালাতে না পারি সেজন্যই পুলিস আমাদের গ্রেপ্তার করে আটকে রাখে। সদাইপুর থানায় এই ঘটনার প্রতিবাদে অনশন করেছি। পরে গভীর রাতে ছাড়া হয়েছে। যাতে আমরা আর কোনও কর্মসূচি না করতে পারি। তবে, আমাদের আন্দোলন চলবে।
অন্যদিকে, এদিন দুপুরে রামকৃষ্ণপুরে গিয়ে মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেতা মুকুলবাবু। মৃতের বাবা ভুবনেশ্বর গড়াই সহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। এদিন বিজেপি নেতৃত্বের তরফে পরিবারকে আর্থিক সাহায্যও দেওয়া হয়েছে। মৃতের স্ত্রী চায়না গড়াই বলেন, আমার স্বামীর খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চাই। দল আমার পাশে রয়েছে। তাই আমিও দলের সঙ্গেই থাকব। মুকুলবাবু বলেন, বীরভূম জেলায় গত এক বছরে ন’জন বিজেপি কর্মী তৃণমূলের হাতে খুন হয়েছেন। এই জেলায় আইনের শাসন বলবৎ নেই।