বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রীর আসার দিনেই সিপিএমের কেন্দ্রীয় সমাবেশ রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হওয়ার পর এই জেলায় সিপিএম নিজেদের ওজন মাপতেই এই ধরনের সমাবেশের আয়োজন করতে চলেছে।
একসময় এই জেলা ছিল সিপিএমের খাসতালুক। তাদের দাপটে কেশপুর, গড়বেতা, চমকাইতলার নাম রাজ্যবাসীর মুখে মুখে ঘুরত। রাজ্যে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এই জেলাতেও সিপিএমের ক্ষমতা ক্রমশ ক্ষীণ হতে শুরু করে। গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো এই জেলাতেও বিজেপি প্রধান বিরোধী শক্তি হিসেবে উঠে আসে। এই জেলায় বিজেপি একটি আসনও দখল করে। ২০১১ সালের পর সিপিএম রাজনৈতিকভাবে কোনও কর্মসূচি নিলে তা শরিকদলকে সঙ্গে নিয়ে করত। এবার সিপিএম এককভাবে এই সমাবেশের ডাক দিয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চুর চকেই জনসভা করা হবে। সেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, রবিন দেব, দীপক দাশগুপ্তের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। জনসমাবেশ সফল করতে ইতিমধ্যেই ব্লক, পঞ্চায়েত স্তরে মিটিং, মিছিল শুরু হয়ে গিয়েছে। এছাড়া পোস্টকার্ড আকারের চিঠি বিলির মাধ্যমে দলীয় কর্মীরা ফের নতুন করে জনসংযোগ শুরু করে দিয়েছেন। সকল স্তরের মানুষকে সমাবেশে আহ্বান জানানো হয়েছে। চিঠিতে তারা কর্মসংস্থানের দাবি জানানোর পাশাপাশি কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতি ও রাজ্যের তৃণমূল সরকারের সমালোচনা করা হয়েছে। পোস্ট কার্ডের চিঠিতে যেখানে স্ট্যাম্প দেওয়া থাকে, সেখানে সিপিএমের লোগো দেওয়া রয়েছে। তার ঠিক পাশে ২৪ সেপ্টেম্বর বেলা ২টোয় মেদিনীপুর শহরে সভা হবে বলে উল্লেখ করা রয়েছে।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক তরুণ রায় বলেন, ২০১১ সালের পর থেকে এককভাবে আমরা কোনও জনসভা করিনি। শরিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেই নিজেদের শক্তি বুঝতে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সিপিএমের ব্যানারেই এই সমাবেশ হবে। এক লক্ষ চিঠি বিলির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। মেদিনীপুর শহরে সভা করার জন্য আমরা কোনও মাঠ পেলাম না। নানা অজুহাতে আমাদের মাঠ দেওয়া হল না। ফলে, আমরা শহরের রাস্তায় সভা করার পরিকল্পনা করি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি পাওয়ার পর ঠিক হয়, শহরের পঞ্চুর চকে আমরা জনসমাবেশ করব। সেখানে অনেকটাই চওড়া রাস্তা রয়েছে। ২৫ হাজার কর্মী, সমর্থক নিয়ে জনসভা করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর জেলায় আসার দিনে সভা করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ডেবরায় প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করার কথা বলেছি। ফলে, মুখ্যমন্ত্রী এলেও আমাদের সভা করতে কোনও অসুবিধা হবে না।