কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুজো কমিটির সম্পাদক বাবু পাত্র বলেন, কীভাবে হারিয়ে যেতে বসা বিভিন্ন খেলা হয় তা আমরা পাট ও পাটকাঠির মডেল দিয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। একইভাবে কীভাবে পালকি কাঁধে নিয়ে বেহারারা যাতায়াত করত, কীভাবে ঢেঁকিতে ধান ভাঙানো হতো বা মানুষ হাতে টানা রিকশ টেনে নিয়ে যেত তা তুলে ধরছি। ছোট বড় সব মিলিয়ে প্রায় ৪০টি মডেল দিয়ে আমাদের মণ্ডপের বাইরের অংশ সাজিয়ে তোলা হবে। আর ভিতরে পাট ও পাটকাঠির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্পকে তুলে ধরা হবে। সঙ্গে থাকবে মানানসই আলো। এবার আমাদের সাবেকি প্রতিমার সমস্ত সাজসজ্জাও পাট দিয়েই তৈরি হচ্ছে। এছাড়াও প্রতি বছরের মতোই এবারও পঞ্চমী থেকে প্রতিদিন আমরা বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি।
অন্যদিকে, ৪৯ তম বছরে ধলডাঙা সর্বজনীন ক্লাব তাদের পুজো মণ্ডপ অমরনাথ পাহাড় ও মধ্য প্রদেশের অমরকণ্টক মন্দিরের সংমিশ্রণে গড়ে তুলছে। প্রায় ৭০ ফুট উঁচু পুজো মণ্ডপে পাহাড়ের কোল ঘেঁষে প্রায় ৩০ফুট উপরে শিব, তার বাহন, দুর্গা সহ অন্যান্য দেবতাদের দেখবেন দর্শনার্থীরা। তারপর আবার পাহাড়ের কোল ঘেঁষে গুহার ভিতর দিয়ে নেমে আসল দুর্গা প্রতিমা দেখে বেরিয়ে আসবেন। পুজো কমিটির সম্পাদক মনু সাহা বলেন, এবার আমাদের মণ্ডপের সামনেই থাকবে গণেশ ও শিব মূর্তি। এছাড়াও আমাদের আসল দুর্গা প্রতিমার কাছে বিভিন্ন মডেলের মাধ্যমে দর্শনীয় শিল্পকলা দেখতে পারেন। গুহার ভিতরে আলো আঁধারি পরিবেশে সূক্ষ্ম হাতের কাজ দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করবে বলে আমরা আশা করছি।
পুজো কমিটির আরএক সদস্য অভিজিৎ আচার্য বলেন, পাহাড়ের অংশটি বাঁশের কাঠামোর উপরে চট, প্লাস্টার অব প্যারিস ও বিভিন্ন ধরনের রং দিয়ে সাজিয়ে তোলা হবে। আর তার উপরে অমরকণ্টক মন্দিরের আদল ফুটিয়ে তোলা হবে। তবে আমাদের মণ্ডপে এবার বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে জীবন্ত চামুণ্ডার মূর্তি দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করবে। দর্শনার্থীদের ভিড়ের কথা মাথায় রেখে এবার আমরা মণ্ডপ ও সংলগ্ন এলাকায় সিসিটিভির ব্যবস্থা করছি। এছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান তো থাকছেই।