দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
বাসকর্মী সংগঠনের সভাপতি আশিস সাহা বলেন, কথায় কথায় বাসকর্মীদের মারধর করা কিছু মানুষের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আগেও একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটেছে। বাসকর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
অন্যদিকে, শনিবার মায়াপুর হুলোরঘাট-কৃষ্ণনগর রুটে বাসের কন্ডাক্টরকে মারধর করার প্রতিবাদে বাস চলাচল বন্ধ করেন বাসকর্মীরা। ফলে ওই রুটেও বাস চলাচল থমকে যায়। দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। বাসস্টপের বাইরে থেকে যাত্রী তোলাকে কেন্দ্র করে, ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনায় বাস কন্ডাক্টরকে বাস থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে বেশকিছু টোটো চালকের বিরুদ্ধে। এদিন বাস বন্ধ হওয়ায় মন্দির নগরী মায়াপুরের ইসকন মন্দির সহ অন্যান্য মন্দিরে দর্শন করতে আসা পর্যটকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আহত বাস কর্মী ধুবুলিয়ার খোকন দাসকে গুরুতর অবস্থায় মায়াপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়েছে। বাসকর্মীদের অভিযোগ, টোটোর দাপটে মায়াপুর রাস্তায় বাস চালানোই দুষ্কর। মায়াপুর হুলোরঘাট থেকে শুরু করে বামনপুকুর বাজার পর্যন্ত টোটো চালকদের অত্যাচার চলে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসকর্মী বলেন, মায়াপুরজুড়ে টোটো চালকদের দাপট এতটাই যে, কারও তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস হয় না। বাসকর্মীদের আরও অভিযোগ, প্রশাসন সবকিছু জেনেও নীরব ভূমিকা পালন করে। প্রতিকার চাইতে আজ দিনভর মায়াপুর হুলোরঘাট-কৃষ্ণনগর রুটের সমস্ত বাস বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানাল বাসকর্মীরা। জখম খোকন দাস হাসপাতালের বেডে শুয়ে বলেন, স্টপেজের একটু বাইরে থেকে কয়েকজন যাত্রীকে বাসে তুলেছিলাম। সেই সময় বেশকিছু টোটো চালক ওই যাত্রীদের বাসে তুলতে বাধা দেয়। প্রতিবাদ করলে, ওই টোটো চালকেরা আমায় বাস থেকে নীচে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে বাসের অন্যান্য সহকর্মীরা ছুটে এসে আমাকে উদ্ধার করে মায়াপুর হাসপাতালে নিয়ে আসে। ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রমেশ দাস বলেন, হুলোরঘাট থেকে ইসকন মন্দির পর্যন্ত টোটোর দাপটে পথ চলাই দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষ থেকে তীর্থযাত্রী, পর্যটকদের। সকাল-সন্ধ্যা ইসকন মন্দিরের মূল প্রবেশ দ্বারকে অবরুদ্ধ করে রাখে একাধিক টোটো। ফলে দর্শনার্থী ভক্তদের মন্দিরে প্রবেশে সমস্যায় পড়তে হয়। প্রশাসনকে বার বার জানান হলেও আজ পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মায়াপুরের বড় সমস্যা হল এখানকার সংকীর্ণ রাস্তাঘাট। তার উপর প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্তের আগমন ঘটে। পাশাপাশি বাস, টোটো সহ একাধিক যানবাহনের ভিড় থাকে। রাস্তার দু’পাশে দোকানপাট বসে যাওয়ায় রাস্তা সঙ্কীর্ণ হয়ে গিয়েছে। ফলে সমস্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। সরকারি জায়গার টোটো, অটো রাখার স্ট্যান্ড করে ভাড়া নির্ধারণ করা দরকার।