পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিনের সভায় ভিড় দেখে এলাকার নেতা এবং কর্মীদের শুভেন্দুবাবু প্রশংসা করলেও বহররমপুরের নেতাদের তিনি এদিনও কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, লোকসভা ভোটের সময় বহরমপুরের কিছু লোকজন তৃণমূলের ঝান্ডা ধরে কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছে। সব কিছু আমি জানি। বহরমপুরে সব কালিদাস বসে রয়েছে। ওরা যে ডালে বসে থাকে, সেটাই কাটছে। তাই বহরমপুরের দায়িত্ব আমি নেব না। ওটা জেলার নেতাদেরই দেখতে হবে। তবে এটুকু বলতে পারি বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলা থেকে সর্বোচ্চ আসন দলনেত্রীকে উপহার দেব। এমনিতেই লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে ২২টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে আমরা ১৬টিতে এগিয়ে রয়েছি।
এদিন এনআরসি বিরোধী সভায় শুভেন্দঝুবাবু বলেন, বিজেপি এনআরসি করে লোকজনদের তাড়াতে চাইছে। এটা হতে দেব না। এনআরসির বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন ছড়িয়ে দেব। ইতিমধ্যে আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনআরসি নিয়ে কলকাতার রাজপথে আন্দোলন করেছেন।
এদিন শুভেন্দুবাবু সভায় বিজেপির পাশাপাশি কংগ্রেসকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, কংগ্রেসের এক নেতা বলেছিল ওরা লোকসভা নির্বাচনে জেলায় তিনটি আসন জিতবে। এই জেলার মানুষ কংগ্রেসকে জবাব দিয়েছে। বহরমপুরে সিপিএম এবং বিজেপি অধীর চৌধুরীর হয়ে ভোট করেছিল। বিজেপির জমানত জব্দ হয়েছিল এখানে। ওদের মধ্যে সমঝোতা হয়েছিল। পরবর্তীকালে ওদের আর কিছু থাকবে না। কয়েকদিন আগে ভরতপুরের কংগ্রেস বিধায়ক মেজাজ হারিয়ে শুভেন্দুবাবুর দিকে এগিয়ে গিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গ তুলে জেলা পর্যবেক্ষক বলেন, কংগ্রেসকে প্রাক্তন বলেছিলাম বলে বিধানসভায় খুব রাগ হয়েছিল। প্রাক্তনকে প্রাক্তন বললে অসুবিধা কোথায়। লোকসভা ভোটের নিরিখে এখানে তো কংগ্রেস হেরেই বসে রয়েছে। আগামী নির্বাচনেও ওরা হারবে। ওরা তো প্রাক্তন হয়েই গিয়েছে। এখানকার কংগ্রেস নেতাদের ঠিকুজি কুষ্ঠি আমার কাছে রয়েছে। কে ইটভাটা করেছে কে থানায় বসে রাত পর্যন্ত গল্প করে সব আমার জানা আছে।
প্রসঙ্গত, শুভেন্দুবাবু ২১সেপ্টেম্বর জঙ্গিপুরে উন্নয়নমূলক সভা করবেন। ওই দিন বিকেলে পরিবহণমন্ত্রী হিসেবে তিনি বেশ কিছু প্রকল্পেরও উদ্বোধন করবেন।