গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
যদিও বর্ধমান সদরের বিজেপি সভাপতি সন্দীপ নন্দী বলেন, আমাদের কোনও কর্মী তৃণমূলের অফিস বন্ধ করেনি। আসলে বৈকুণ্ঠপুর-২ অঞ্চলে ওরা মানুষের সমর্থন হারিয়েছে। সাধারণ মানুষের জনরোষের ভয়েই ওরা এতদিন পার্টি অফিসও খুলতে পারছিল না। এদিন প্রশাসনের পক্ষ থেকেও আমাদের নেতৃত্বকে বলা হয়েছিল, তৃণমূল অফিস খুলবে যেন কোনও গণ্ডগোল না হয়। আমাদের কেউ বাধাও দেয়নি। বিজেপিকে সাধারণ মানুষ দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন। আমাদের কারও পার্টি অফিস দখল করার দরকার নেই।
এদিকে, গত লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান উত্তর বিধানসভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস ২৮ হাজার ৪৬ ভোট লিড পেয়েছিল। কিন্তু, এই বৈকুণ্ঠপুর-২ অঞ্চলে তৃণমূল লিড পায়নি। তার জেরেও দলের কর্মীরা অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল। লোকসভার ফল প্রকাশের দিন থেকেই ওই পার্টি অফিসের ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যায়। এদিন দিদিকে বলো কর্মসূচিতে বিধায়ক এবং দলের যুব কর্মীরা ওই এলাকায় যান। তারপরই ওই পার্টি অফিসটি খোলা হয়। খোদ বিধায়কের নেতৃত্বে বন্ধ পার্টি অফিস খোলার পর দলীয় ঝান্ডাও তোলা হয়। তাতে এলাকার কর্মীরাও বুকে বল পেয়েছেন। বিধায়ক নিশীথ মালিক পার্টি অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, বিজেপির লোকজন সিপিএমকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের এই পার্টি অফিস বন্ধ করে দিয়েছিল। চারমাস ধরে খুলতেও দিচ্ছিল না। আমরা অফিস খুলব, এটা শুনে ওরা আজকেও আমাদের কয়েকজন কর্মীকে হুমকি দিয়েছিল। কিন্তু, ভয় উপেক্ষা করেই আমাদের দলের কর্মীরা সবাই এসে ওই অফিস খুলেছে। বিজেপি যদি হুমকি দেয়, তাহলে আমরাও বুঝে নেব। সন্ত্রাস করে তৃণমূলকে রোখা যাবে না।