বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন কর্মশালায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রামেশ্বরবাবু বলেন, বহু জায়গাতেই বিভিন্ন ধরনের শাক সব্জি, ফলমূল নষ্ট হচ্ছে। তাই ওই সমস্ত জিনিসকে আমরা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের মাধ্যমে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছি। তবে তার জন্য আমাদের জৈব পদ্ধতিতে চাষের উপর জোর দিতে হবে। জৈব পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদন হলে তবেই আমরা সেগুলি প্রক্রিয়াকরণ করে বিদেশে রপ্তানি করতে পারব। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পকে চাঙ্গা করতে তাই কেন্দ্রীয় সরকার ফুডপার্ক করার উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যেই এরাজ্যে দু’টি মেগা ও ৬টি মিনি ফুডপার্কের কাজ চলছে। তিনটি মিনি ফুডপার্ক চালু হয়ে গিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আগে ভর্তুকির টাকার জন্য যে সমস্ত জায়গায় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের কোনও উপকরণ নেই সেখানেও এই পার্ক হয়েছে। কিন্তু, আমরা তা করতে চাই না। আমরা চাই, যেখানে প্রয়োজন সেখানেই ফুডপার্ক হোক। এজন্য উৎসাহী ব্যবসায়ীদের ৫০ একর জায়গায় প্রকল্প গড়ে তোলার জন্য সরকার ৫০কোটি টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দেবে। এক একটি মেগা ফুডপার্কে ৫হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। তবে রাজ্য সরকারের সহযোগিতা ছাড়া এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করা সম্ভব নয়। এই প্রকল্প করতে হলে উদ্যোগীদের জমি, জল, বিদ্যুৎ ও রাস্তার সংস্থান করে বিভাগীয় পদ্ধতি মেনে আবেদন করতে হবে। একইভাবে মিনি ফুড পার্কের জন্য ১০ একর জায়গা ও অন্যান্য সুবিধা নিয়ে আবেদন করতে হবে। এছাড়াও কোল্ডস্টোর, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের ল্যাব, রিসার্চ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সহযোগিতা পাওয়া যাবে। বাঁকুড়ায় আমরা একটি ফুডপার্ক গড়ে তুলতে চাই।
এদিনের কর্মশালায় মন্ত্রী ছাড়াও বাঁকুড়ার সংসদ সুভাষ সরকার, বিষ্ণুপুরের সংসদ সদস্য সৌমিত্র খাঁ, ঝাড়গ্রামের সংসদ সদস্য কোনার হেমব্রম, ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের ডিরেক্টর মধুপর্ণা ভৌমিক সহ বিভিন্ন ব্যাঙ্ক, নাবার্ড ও ২০০ বেশি ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন। এদিনের কর্মশালায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুভাষবাবু বলেন, বাঁকুড়া জেলায় আম ও আলুকে কেন্দ্র করে প্রক্রিয়াকরণ শিল্প গড়ে ওঠার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যবসায়ীরা উদ্যোগী হলে আমরা তাঁদের সমস্ত ভাবে সাহায্য করব। পাশাপাশি জেলায় কোনও ধরনের ফসল কতটা উৎপন্ন হয় তার একটি পরিসংখ্যান মন্ত্রী ও উপস্থিত ব্যবসায়ীদের কাছে তুলে ধরেন।