দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
রাজ্যের সব জেলার মানুষের অভাব অভিযোগ শোনার জন্য নবান্নে গ্রিভান্স সেল রয়েছে। এই সেলের মুখ্য উপদেষ্টা রয়েছেন দীপ্তাংশু চৌধুরী। গত দু’মাস ধরেই রাজ্যের একাধিক জেলায় প্রত্যন্ত ব্লকে গিয়ে তিনি ও তাঁর টিম সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনছেন। ইতিমধ্যে দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ছাড়া বাকি সব জেলায় তাঁরা গিয়েছেন। বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। এলাকায় বসেই সাধারণ মানুষের সমস্যার সমাধান করেছেন। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির বিপুল সাফল্য শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কপালে ভাঁজ ফেলে দিয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য গুচ্ছ গুচ্ছ সরকারি প্রকল্প চালু করার পরও বহু এলাকায় সাধারণ মানুষ কী কারণে সরকারের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তার কারণ জানতেই মুখ্যমন্ত্রী ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি নিয়েছেন। এই জেলায় একাধিক বিধায়ক গ্রামে গিয়ে জনসংযোগ করতে গিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মানুষ। কাটমানির নালিশ জানিয়েছেন। এবার খোদ নবান্ন থেকে আসা কর্মকর্তাদেরও কাটমানি নিয়ে অভিযোগ শুনতে হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত সোমবার নবান্ন থেকে গ্রিভান্স সেলের কর্মকর্তারা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় আসেন। সার্কিট হাউসে বসে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বেশ কয়েকজন মানুষের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন। পরে, ঝাড়গ্রামে তাঁরা চলে যান। সেখানে কয়েকটি এলাকা ঘুরে তাঁরা ফের এই জেলায় ফিরে আসেন। বুধবার, বৃহস্পতিবার তাঁরা এই জেলার সদর ব্লক, কেশিয়াড়ি এবং নারায়ণগড় ব্লকে যান। পাশাপাশি জেলাশাসক, পুলিস সুপারের সঙ্গে তাঁরা বৈঠক করেন। সরকারি প্রকল্পের বিষয় নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনাও হয়।
দীপ্তাংশুবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষের কল্যাণে ৪৯টি সরকারি প্রকল্প পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। অথচ ব্লক, পঞ্চায়েত স্তরে কয়েকটি জায়গায় জনপ্রতিনিধিরা সেই সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাটমানি নিয়েছেন। নারায়ণগড়, কেশিয়াড়ি ব্লকে গিয়ে এই ধরনের অভিযোগ সাধারণ মানুষ করেছেন। সদর ব্লকে এই ধরনের অভিযোগ কম পেয়েছি। জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি রেশন ডিলাররা কম রেশন দিয়ে বঞ্চিত করছেন। সেই বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। বাংলা আবাস যোজনা সহ কোনও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে কাউকে কোনও টাকা দিতে হবে না বলে তাদের জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষের স্বার্থে সরকারি প্রকল্প করেছে। কিছু জনপ্রতিনিধি নিজের স্বার্থে কাটমানি নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে সাধারণ মানুষ ফের রাজ্য সরকারের প্রতি আস্থা রাখবে বলে জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর উপর সাধারণ মানুষ আস্থার কথা জানিয়েছেন।