দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
স্থানীয় ও তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৯টা নাগাদ আরামবাগের বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরার নেতৃত্বে দিদিকে বলো কর্মসূচি শুরু হয়। ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গুণধর খাঁড়া, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান অতীন মাল প্রমুখ। বিধায়কের নেতৃত্বে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের গৌরহাটি উত্তর কুণ্ডু পাড়ার রামমোহন স্কুলের সামনে থেকে কর্মসূচিটি শুরু হয়। সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শাসকদলের নেতৃত্বরা অভাব-অভিযোগ ও সমস্যা কথা শোনেন। সেই সময় গ্রামের রাস্তার পাশে রাখা তৃণমূলের দলীয় পতাকা লাগানো বাইকের উপর বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।
বিষয়টি নিয়ে আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ দীপক মাজি বলেন, ওই রাস্তার পাশে আমাদের কর্মীদের বেশ কয়েকটি বাইক রাখা ছিল। বাইকে আমাদের দলের পতাকাও লাগানো ছিল। তাই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বেছে বেছে ওই বাইকগুলিতে ভাঙচুর চালিয়েছে। আমরা বিষয়টি জানতে পেরে থানায় খবর দিই। বিজেপি জনসংযোগ হারিয়েছে। তাই এভাবে আমাদের কর্মী সমর্থকদের দমিয়ে রাখতে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা করি।
অন্যদিকে, এদিন গৌরহাটি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন বিভিন্ন শিক্ষা কেন্দ্র ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পর্যবেক্ষণের জন্য পঞ্চায়েত অফিসে আসেন জেলা স্তরের আধিকারিকরা। ওই আধিকারিকদের পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকতে বাধা দেয় বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। এব্যাপারে পঞ্চায়েতের প্রধান অতীন মাল বলেন, সরকারি নিয়ম মেনে জেলা স্তরের আধিকারিকরা এদিন গ্রামের বিভিন্ন স্কুল সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে পঞ্চায়েত অফিসে এসেছিলেন। সেই সময় বিজেপির লোকজন ওই আধিকারিকদের কাজে বাধা দেয়। এমনকী পঞ্চায়েত অফিসে তাঁদের জন্য আনা পানীয় জল ছুঁড়ে ফেলে। পাশাপাশি অফিসের ভিতরে থাকা চেয়ার-টেবিল তছনছ করে। বিষয়টি আমরা পুলিসকে জানিয়েছি।
আরামবাগের বিধায়ক বলেন, জনসংযোগের জন্য এদিন আমরা দিদিকে বলো কর্মসূচি নিয়েছিলাম। রাজনীতির রং দেখে বর্তমান শাসক দল উন্নয়ন করে না। আমরা সব দলের কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি গিয়ে তাঁদের সমস্যার কথা জানতে চেষ্টা করেছি। এমন অনেক মানুষ আছেন যাঁরা আমাদের সমর্থক নন, কিন্তু তাঁদের সমস্যার কথা আমাদের জানিয়েছেন। ওই কর্মসূচির সময় বিজেপির দুষ্কৃতীরা আমাদের কর্মীদের বাইক ভাঙচুর করে। এমন ঘটনা কখনই কাম্য নয়।
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় বিজেপি নেতা শুভঙ্কর মালিক বলেন, আমাদের দল হিংসার রাজনীতি করতে শেখেনি। তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে এদিন অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও কর্মী বা সমর্থক যুক্ত নয়। তৃণমূলের পক্ষ থেকে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।