সংবাদদাতা, কাঁথি: কাঁথি থেকে রসুলপুর যাওয়ার ১৪ কিলোমিটার বেহাল রাস্তার সংস্কারের কাজ না হওয়ায় এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষোভ বাড়ছে। কয়েকদিন আগে ব্লকের বকুয়াবাঁধ এলাকার কিছু বাসিন্দা খানাখন্দে ভরা রাস্তায় ধানগাছের চারা পুঁতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, এই রাস্তাটি পূর্ত(সড়ক) দপ্তরের অধীনে রয়েছে। কাঁথি শহরের পাশাপাশি কাঁথি-৩ ও দেশপ্রাণ ব্লকের অর্ন্তগত এলাকা দিয়ে গিয়েছে এই পাকা রাস্তা। বিশেষ করে দেশপ্রাণ ব্লকের ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। পাশাপাশি খেজুরি-২ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা যাতায়াত করেন। অনেকগুলি বাস ও ট্রেকার যাতায়াত করে। তাছাড়া, পেটুয়াঘাট মৎস্যবন্দর থেকে সামুদ্রিক মাছ লরি করে দীঘা মোহনায় নিয়ে যাওয়া হয়। এলাকায় বেশকিছু ইটভাটা থাকায় প্রচুর লরি যাতায়াত করে। তাছাড়া, বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা যাতায়াত করে। কিন্তু রাস্তাটি সারাই না হওয়ায় এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষোভ বাড়ছে। প্রতিনিয়ত বাইক, অটো, টোটোতেও ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা রবি মাইতি বলেন, রাস্তাজুড়ে খানাখন্দ ভরা। পুজোর আগে রাস্তা মেরামতের ব্যবস্থা না হলে আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব। পুজোর সময় হাজার হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন।
দেশপ্রাণ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তরুণ জানা বলেন, সত্যিই এই রাস্তাটির বেহাল অবস্থা। এলাকার বাসিন্দারা আমাদের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। আমরা পূর্ত(সড়ক) দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে রাস্তাটি মেরামতের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আগেই জানিয়েছি। পূর্ত দপ্তর পুজোর পর রাস্তাটি মেরামতি এবং সম্প্রসারণ করবে বলে আমাদের জানিয়েছে। তবে তার আগে রাস্তাটির খানাখন্দগুলি যাতে মেরামত করা হয়, সেব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।