দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
এক উদ্যোক্তা বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, উনি এরকমই। মণ্ডপ তৈরির জন্য অগ্রিম টাকা নিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। আগেও এরকম করেছেন। আমাদের কয়েকজনের ভুলের জন্য এরকম হয়ে গেল। ওঁর নামে থানায় অভিযোগ করব। টাকা নিয়ে এরকম কেউ করে? ওঁকে ছাড়ব না। হাতে আর বেশি দিন সময় নেই। দেখি, এই কয়েক দিনে আর কী থিম করা যায়।
বহরমপুরের বিষ্ণুপুর অনামী ক্লাবের পুজো উদ্যোক্তারা বলেন, খেজুরির ওই শিল্পী ফলের বীজ দিয়ে মণ্ডপ করার জন্য অগ্রিম ১ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। কিছুদিন আগে কয়েকটি বাঁশ ফেলে যায়। তার কর্মীরা এসে বাঁশ পুঁততে শুরু করে। হঠাৎ করে পাঁচ দিন আগে তারা পালিয়ে যায়। শিল্পীও বেপাত্তা। পুজো উদ্যোক্তা ভাস্কর বাজপেয়ি বলেন, আমরা খেজুরিতে গিয়ে ওই শিল্পীকে বায়না করেছিলাম। উনি বলেছিলেন, সুপারি, নারকেল এবং অন্যান্য ফলের বীজ দিয়ে এমন মণ্ডপ বানিয়ে দেব যাতে দর্শনাথীরা নজর ঘোরাতে পারবে না। কিন্তু, ওর মনে এই ধান্দা ছিল বুঝতে পারিনি। কতগুলি বাঁশ রেখে গিয়েছে। মেরেকেটে সেগুলি দাম হবে ৩০ হাজার টাকা। বাঁশ নিয়ে আমরা আর কী করব? আমাদের কাছে অগ্রিম ১ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা নিয়ে নিয়েছে। ওর সঙ্গে প্যান্ডেলের জন্য ৬ লক্ষ টাকার চুক্তি হয়েছিল। ভাগ্যিস আর বেশি টাকা দিইনি।
উদ্যোক্তারা বলেন, বিষ্ণুপুর অনামী ক্লাব প্রতিবারই পুজোর সময় নজর কাড়ে। শহরের বিগ বাজেটের পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম। গতবারও বেশ কয়েকটি সংস্থার কাছে থেকে পুরস্কার পেয়েছিল। কিন্তু, এবার কী হবে সেটাই এখন তাঁরা বুঝতে পারছেন না। উদ্যোক্তারা অন্য একটি ডেকরেটর সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছে। তারা বাহুবলীর একটা সেট তৈরির জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু, যতক্ষণ না তৈরি হচ্ছে ততক্ষণ উদ্যোক্তাদের স্বস্তি ফিরছে না।
পুজো উদ্যোক্তা ভাস্করবাবু বলেন, ওই শিল্পী ৬০ ফুট উচ্চতার মণ্ডপ বানানোর কথা বলেছিল। উনি যে মণ্ডপটি আমাদের দেখিয়েছিলেন, সেটি সত্যিই অপরূপ। প্রতিবারই আমরা নতুন নতুন থিম তৈরি করি। সেই কারণে এবার আমরা খেজুরিতে গিয়ে ওই শিল্পীর সঙ্গে কথা বলে নতুন থিমের পরিকল্পনা করেছিলাম। এর আগে ওই শিল্পীর সঙ্গে আমাদের পরিচয় ছিল না। খেজুরিতে গিয়েই ওঁর খোঁজ পেয়েছিলাম। ওঁর ফলের বীজ নিয়ে আসার কথা ছিল। কিন্তু শুধু বাঁশ রেখেই উধাও হয়ে গেল।