কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন স্কুলে একটি পানীয় জলের প্রকল্পের উদ্বোধন করতে যাওয়ার আগে দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ মন্ত্রী সটান চলে যান মিড-ডে মিলের রান্নাঘরে। তখন শুধু ভাত ও ডাল রান্না হয়েছে। বড় কড়াইতে রান্না চলছে আলু পটল ও সয়াবিনের তরকারি। স্বপন দেবনাথ মিড-ডে মিলের রেজিস্টার বইও দেখতে চান। রান্নার পাশেই একটি চেয়ারে বসতে দেওয়া হয় তাঁকে। সেখানের বসেই পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণীর পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বললেন। স্বপনবাবু মিড-ডে মিলের খাবার নিয়ে সরাসরি কথা বলেন পড়ুয়াদের সঙ্গে। এরমধ্যেই মিড-ডে মিলের থালায় মন্ত্রীকে খেতে দেওয়া হয় ভাত, ডাল। সঙ্গে উনান থেকে নামানো গরম গরম তরকারিও পরিবেশন করা হয়। স্বপন দেবনাথ বলেন, কুমারানান্দ হাইস্কুলের মিড-ডে মিলের রান্না খেয়ে ভালো লেগেছে। পড়ুয়ারা বলেছে, রান্না করা খাবার নিয়ে তাদের কোনও অভিযোগ নেই। তবে আমি আরও কিছু স্কুলের গিয়ে, মিড-ডে মিলের খাবার চেখে দেখবো। গলদ ধরতে পড়ুয়াদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলব।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারি প্রকল্পের কাজের গতি আনতে কালনা-১ ব্লকের জনপ্রতিনিধি, ঠিকাদার সংস্থা ও এজেন্সিকে নিয়ে বুধবার বৈঠক করলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। ব্লকের সভাকক্ষে স্বপনবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিডিও সেবন্তী বিশ্বাস, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্রাবণী পাল, কর্মাধ্যক্ষ শ্যামল কুমার দাঁ ও সরকারি আধিকারিকরা।
সভায় স্বপনবাবু সকলের কাছে ব্লকের উন্নয়নের খতিয়ান জানতে চান। কোথায় কোথায় কাজ থমকে আছে, কেন থমকে আছে তার কৈফিয়ত নেন। কালনার আটঘড়িয়া এলাকায় একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কাজ তিন বছরেও কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় কথা শুনে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ওই কাজের বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থার ব্যক্তিকে ডেকে কারণ দর্শাতে বলেন। ১৫দিনের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ করার প্রতিশ্রুতি দিলে শান্ত হন তিনি। এছাড়াও ব্লকে পিএইচইর ৪১টি নলবাহিত পানীয় জল পরিষেবার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে জেনে কেন চালু করা হচ্ছে না তা আধিকারিকদের কাছে জানতে চান। আধিকারিকরা জানান, বৈদ্যুতিক সংযোগ না থাকায় চালু করা যাচ্ছে না। মন্ত্রী পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ, পঞ্চায়েত প্রধানদের দ্রুত সংযোগের ব্যবস্থা করে পানীয় জল পরিষেবা চালুর নির্দেশ দেন। বিদ্যুতের বিল নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় তিনি বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেন। এছাড়াও ব্লকে জায়গার অভাবে কয়েকটি অঙ্গনওয়াড়ির স্থায়ী ভবন নির্মাণ করা যাচ্ছে না শুনে তিনি জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেন। এদিন তিনি উপস্থিত সকলকে সাফ জানিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো কোনও কাজ ফেলে রাখা যাবে না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। কোনও অজুহাত, টালবাহনা মানা হবে না। চুক্তিমতো গুণগত মান ঠিক রেখে কাজ করতে হবে। এছাড়াও জনপ্রতিনিধিদের সরকারি ঘোষিত প্রকল্পগুলি সাধারণ মানুষের মধ্যে যাতে পৌঁছে যায় তার জন্য নির্দেশ দেন। কোন কোন এলাকায় কতজন মানুষ সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেল নিদিষ্ট সময় অন্তর তিনি তার খোঁজখবর নেবেন বলে পরিষ্কার জানিয়ে দেন।
স্বপনবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন সরকারি প্রকল্পের কাজ কোনওভাবে ফেলে রাখা যাবে না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। এদিন তারই খোঁজখবর নেওয়া হয়। যাঁরা নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে ওই সংস্থা ও এজেন্সিকে ব্ল্যাকলিস্টেড করে দেওয়া হবে। ব্লকে প্রায় ২০ হাজার মানুষের বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে যাবে। উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য।