বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
পুরুলিয়ার পুলিস সুপার আকাশ মাঘারিয়া বলেন, ওই জুনিয়র কনস্টেবলের বলরামপুর থানায় পোস্টিং ছিল। জয়দীপ দাস নামে ওই জুনিয়র কনস্টেবল এদিন সকালে নাকা চেকিংয়ের জন্য বলরামপুরের দাঁতিয়া এলাকায় যান। সেখানে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে অন্যান্যদের থেকে আলাদা হন ওই পুলিসকর্মী। তার কিছুক্ষণ পরেই প্রায় ১০০মিটার দূরে গুলি চালানোর আওয়াজ পান নাকাচেকিংয়ে থাকা অন্যান্য পুলিসকর্মীরা। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ছুটে গিয়ে দেখেন, নিজের ইনসাস থেকে গুলি চালিয়েছেন জয়দীপ। ওই ইনসাস তাঁর হাতেই ছিল। গলায় গুলি চালিয়ে ছিলেন। স্থানীয় বাঁশগড় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা জয়দীপবাবু দীর্ঘদিন ধরেই পুরুলিয়া জেলায় ডিউটি করছেন। প্রায় একমাস আগে তাঁকে বলরামপুর থানা এলাকায় ডিউটিতে পাঠানো হয়। জয়দীপবাবু জুনিয়র কনস্টেবলদের মধ্যে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত অ্যাসল্ট গ্রুপের সদস্য ছিলেন। জঙ্গল এলাকায় এলআরপিরও বিশেষ প্রশিক্ষণ ছিল তাঁর। বুধবার সকালে মোট ১১জন নাকাচেকিংয়ের জন্য দাঁতিয়া এলাকায় যান। সেখানে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ওই ঘটনা ঘটে। অনেকেই জুনিয়র কনস্টেবলদের অতিরিক্ত কাজের চাপের কারণে অবসাদের কথা নিয়ে আলোচনা করলেও সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট করে কোনও তথ্য পায়নি জেলা পুলিস কর্তারা। জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে মৃত পুলিস কর্মীর পরিবারকে ঘটনার কথা জানানো হয়েছে।