ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
তমলুক রাজবাড়ি সংলগ্ন খাটপুকুর পাড়, মানিকতলায় পুরনো পানপস্তা, স্টিমারঘাট, গঙ্গার ঘাট, তমলুক জেলা হাসপাতাল ক্যাম্পাস সন্ধ্যার পর নেশাড়ুদের দখলে চলে যাচ্ছে। এছাড়াও শহর লাগোয়া বহিচার, রত্নালিতে রেজিস্ট্রি অফিসের পিছনের ফাঁকা মাঠ সহ অলিগলিতে গাঁজা আর মদের বোতল নিয়ে বসে পড়ছে অনেকে। সন্ধ্যার পর টিউশন ফেরত স্কুল-কলেজ ছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে টিপ্পনি উড়ে আসছে। রাত বাড়লেই উপদ্রব আরও বাড়ছে।
মদ্যপদের দৌরাত্ম্য আটকাতে এবং দেদার মদের লাইসেন্স দেওয়ার প্রতিবাদে শহরে মদবিরোধী কমিটি গঠন হয় ২০১৮ সালের মে মাস নাগাদ। তারপর ওই কমিটি রত্নালি এলাকায় একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকান চালু থাকার পরও আর একটি দোকান চালু করার প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে। আন্দোলনকারীদের চাপে শেষমেশ দোকান সরাতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি আগে থেকে চালু থাকা মদের দোকানটি বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে ওই আন্দোলন দমানোর জন্য নানারকম টোপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।
মদবিরোধী নাগরিক কমিটির সভাপতি তথা পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি শক্তিপদ ভট্টাচার্য ও সম্পাদক নুরুল ইসলাম বলেন, শহরে কয়েকটি অপ্রীতিকর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এই কমিটি গড়ে তুলি। মানিকতলায় একটি স্কুলছাত্রী রাতে টিউশনি পড়ে বাড়ি ফেরার পর মদ্যপদের উৎপাতে ঘরে ঢুকতে পারছিল না। মদ খেয়ে মাতলামি করার প্রতিবাদে মানিকতলা এলাকাতেই এক গৃহকর্তাকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়। এরকম বেশকিছু ঘটনার পর আমরা বাধ্য হয়ে মদবিরোধী কমিটি তৈরি করে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হই। তিনি বলেন, মদ যাবতীয় অন্যায়ের উৎসেচক হিসেবে কাজ করে। এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করা জরুরি।
রাত ৮টার পর শহরের রাস্তায় কিশোরী কিংবা যুবতীদের লক্ষ্য করে প্রায়ই ইভটিজিং করার অভিযোগ ওঠে। এনিয়ে ধারাবাহিকভাবে থানায় অভিযোগ আসার পরই মদ্যপদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযানে নামার পরিকল্পনা নিয়েছিল তমলুক থানার পুলিস। মদের পাশাপাশি গাঁজা এবং হেরোইনের চক্র সক্রিয় হয়েছে বেশ কয়েকটি জায়গায়। মদ, গাঁজা এবং হেরোইন চক্র রমরমার জেরে চুরি, ছিনতাইও বাড়ছে। নেশার টাকা জোগাড় করতে কেউ কেউ চুরি, ছিনতাইয়ের মতো ঘটনায় জড়িয়ে পড়ছে।
তমলুক থানার ওসি কৃষ্ণেন্দু প্রধান বলেন, জুলাই মাসে আমরা সবচেয়ে বেশি ১৭২জন মদ্যপকে পাকড়াও করেছি। আগস্ট মাসেও প্রায় ৮০জনকে ধরা হয়েছে। শহরে মদ্যপদের বাড়বাড়ন্ত আটকাতে বিশেষ অভিযান চালানো হয়েছিল।