ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ি শহরের উপকন্ঠে রয়েছে ওই স্কুল। সেখানে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হয়। বর্তমানে স্কুলের পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় এক হাজার। প্রায় সাত একর জমি নিয়ে গড়ে উঠেছে স্কুল চত্বর। সেখানেই দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে ওই জলাভূমি। এবার সেই পুকুরকে কাজে লাগিয়ে পড়ুয়াদের পুষ্টির কথা ভেবে মাছ চাষ শুরু করা হয়েছে। তবে এবারই যে প্রথম ওই পুকুরে মাছ ছাড়া হয়েছে এমন নয়। এর আগেও একাধিকবার সেখানে মৎস্য দপ্তরের কাছে আবেদন করে মাছের চারা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষের দাবি, চলতি মরশুমে মাছের চারা ছাড়া হয়েছে। আগামী শীতে সেই মাছ ধরা হবে। তখন ছাত্রছাত্রীদের মিডডে মিলের পাতে মাছের পিস দেওয়া হবে। পড়ুয়ারা মাছ পেয়ে অবশ্য একটু বেশিই ভাত খায়। তাই জলাশয় রক্ষার স্বার্থে ও পড়ুয়াদের পুষ্টির কথা ভেবে পুকুরটিকে নিয়মিত চাষ করা হয়। এদিন মৎস্য দপ্তরের তরফে ৪২ কেজি রুই, কাতলা, মৃগেল প্রভৃতি প্রজাতির মাছের চারা ওই পুকুরে ছাড়া হয়েছে। পুকুরের সামনেই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ছোট একটি অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। চারা বিতরণে মৎস্য দপ্তরের কর্মীদের পাশাপাশি সিউড়ি-১ ব্লকের মৎস্য আধিকারিক মৃণাল গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন।
বীরভূম জেলা মৎস্য আধিকারিক রঞ্জিত মণ্ডল বলেন, কড়িধ্যার ওই স্কুলটি নিজেদের পুকুরে মাছ চাষ করার আবেদন করেছিল। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে এদিন প্রায় দু’ই হাজার পিস মাছের চারা সরবরাহ করা হয়েছে। ছোট জলায় মাছ চাষ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্তিতে ওই স্কুলে চারা দেওয়া হয়েছে।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় এক বাসিন্দা সেই পুকুর দেখভাল করবেন। তিনি মাছ চাষের পর অন্য সময়ে স্কুলের দিকেও নজর রাখবেন। মাছের চারা বিলির পর সেখানে মৎস্য দপ্তরের তরফেই খাবার ও অন্যান্য সামগ্রী দেওয়া হবে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক কল্যাণ ভট্টাচার্য বলেন, বছরে পাঁচ-ছয় বার ওই পুকুর থেকে মাছ ধরা হয়। তারপর মিডডে মিলে পড়ুয়াদের ভাতের সঙ্গে দেওয়া হবে মাছের ঝোল। বিগত কয়েক বছর ধরে এভাবেই আমরা পুকুরটি চাষ করি।
স্কুল সূত্রে খবর, ওই স্কুলে শুধু পুকুরে মাছ চাষই নয়, নিজেদের জমিতে করা হয়েছে সব্জির বাগান। তাতে এখন বেগুন, উচ্ছে, লঙ্কা ধরেছে। ওই সব্জিই মিড ডে মিলে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ভেষজ উদ্যানেও প্রায় ১০০ প্রজাতির গাছ রয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, উদ্যান তৈরি করে ছাত্রছাত্রীদের গাছ চেনানো, মিডডে মিল ও অন্য স্কুলকে সরবরাহও তা করা হয়। গত ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে কলকাতার রেড রোডে নাচের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল ওই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফে ওই স্কুলকে সংবর্ধনাও দেওয়া হয়েছে।