ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খনির এক আধিকারিক বলেন, আমরা স্থানীয় ও ক্ষতিগ্রস্তদের থেকেই অদক্ষ যে সব লোক লাগবে তা নেব বলেছি। জেলা প্রশাসন সেই তালিকা করলে আমরা প্রয়োজন মতো সেখান থেকেই লোক নেব। কিন্তু, আমাদের প্রয়োজন ৪০জন অথচ যদি একসঙ্গে ৫০০ লোক নেওয়ার দাবি তোলা হয় তাহলে তা সম্ভব নয়। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি, এখানে কাজ করার ক্ষেত্রে যেসব রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতা চলছে তা যদি বন্ধ না হয় তাহলে কাজ বন্ধ করে এখান থেকে চলে যেতে বাধ্য হব। কারণ, যেভাবে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে তাতে আমাদের লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২৩আগস্ট সংসদ সদস্য সৌমিত্র খাঁ বাগুলি, লহড়াবনী, হিদুরডাঙা, মনোহর প্রভৃতি গ্রামের চাষি, খেতমজুরদের নিয়ে কোলিয়ারিতে বিক্ষোভ দেখিয়ে ডেপুটেশন দিয়েছিলেন। তাঁদের দাবি, ছিল কৃষকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং চাকরি, ভূমি হারাদের দিয়ে কয়লা পরিবহণ করানো, বাস্তু হারাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিয়ে পুনর্বাসন, ব্লাস্টিংয়ের কারণে যেসব বাসিন্দাদের বাড়িতে ফাটল ধরেছে তার ক্ষতিপূরণ, খেতমজুরদের এককালীন ৫০০দিনের মজুরি, স্থানীয় বেকারদের কাজে নিযুক্ত করা এবং মনোহর গ্রামের কর্মকার পাড়াটিকে অধিগ্রহণ করে তাদের পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণ ও চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। ওইদিন তিনি পিডিসিএল কর্তৃপক্ষকে হুমকি দিয়ে বলে গিয়েছিলেন ১৫দিনের মধ্যে দাবিগুলির সমাধান না হলে তিনি নিজে গণ অবস্থানে বসবেন। তারপরেই জেলা প্রশাসন বৈঠক করে ক্ষতিপূরণের নতুন প্যাকেজ ও বাগুলিতে ৪০জনকে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। কিন্তু সেই বর্ধিত দামে রাজি নন চাষিরা।
বাগুলি গ্রামের বাসিন্দা উত্তম মণ্ডল, শশাঙ্ক মণ্ডল বলেন, ট্রান্স দামোদর কোলিয়ারির ক্ষতিগ্রস্ত চাষের জমি তিন ফসলি। ওরা একর প্রতি জমির মূল্য দাবি করেছেন ৪০লক্ষ টাকা। আমাদের জমি এক ফসলি তাই আমরা কৃষিজমির দাম একর প্রতি ৩০লক্ষ টাকা দাবি করেছি।
ধর্নায় শামিল হওয়া মনোহর গ্রামের সুপ্রিয়া কর্মকার বলেন, আমাদের পাড়াটি একবারে কোলিয়ারির মাঝখানে অবস্থিত। চারিদিকে ব্লাস্টিং হচ্ছে। ঘরবাড়িতে ফাটল ধরছে। আমাদের দাবি, কর্মকার পাড়াটি অধিগ্রহণ করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুক কর্তৃপক্ষ।
সৌমিত্র খাঁ বলেন, যাঁদের জমি বাড়ি গেল তাঁদের কাজ দেওয়া হচ্ছে না। জমির দাম নামমাত্র বাড়িয়ে আসল খেতমজুরদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ১২জনের যে পরিচালন কমিটি রয়েছে, তাতে তৃণমূলের নেতাদের কথা মতো প্রশাসন খেতমজুর, জমিহারা ও বেকারদের ভুয়ো তালিকা তৈরি করেছে। সংসদ সদস্যের অভিযোগ, কয়লা পরিবহণে তৃণমূল নেতারা কাটমানি খাচ্ছে। এদিন একদিনের গণ অবস্থান করলাম। প্রয়োজনে লাগাতার অবস্থান চলবে।
বিজেপির অভিযোগ প্রসঙ্গে বড়জোড়ার ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, এখানে বিজেপি নেতারা সিপিএমের কায়দায় হার্মাদ বাহিনী তৈরি করে বড়জোড়ার শিল্প- খনি এলাকার সুস্থ কর্ম সংস্কৃতিকে নষ্ট করতে চাইছে। বিজেপি নেতারা কোলিয়ারি থেকে তোলা আদায় করার জন্য এই কৌশল নিয়েছে। আমরা ভূমিহারা ও খেত মজুর এবং স্থানীয় বেকারদের পাশে আছি আগামী দিনেও থাকব।