ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
প্রসঙ্গত, শনিবার সিপিএম কর্মী বাবুলাল বিশ্বাস(৩৫)কে ফোন করে ডেকে দুষ্কৃতীরা খুব কাছে থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। বাবুলালের বুকের বাঁ দিকে দু’টি গুলি লাগে। রবিবার ময়নাতদন্তের পর বাবুলাল বিশ্বাসের দেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বাবুলাল পেশায় কাঠের ব্যবসায়ী ছিলেন। সিপিএমের অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন এই যুবনেতা। তাঁরজন্য পঞ্চায়েত ভোটে ভালো ফল করেছিল সিপিএম।
মৃতের পরিবার সূত্রের জানা গিয়েছে, বাবুলাল বিশ্বাস বছর তিনেক আগে বিয়ে করেন। তাঁদের এক বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। তাঁর স্ত্রী মৌসুমি বিশ্বাস গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাতকুল্লা-২ পঞ্চায়েতের সিপিএমের প্রার্থী ছিলেন। ছেলের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর মা শিবানীদেবী কার্যত বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। তাঁর বাবা নন্দ বিশ্বাস বলেন, আমার ছেলে গরিব মানুষের পাশে থাকত। এলাকায় কিছু ভুল দেখলেই প্রতিবাদ করত। তারজন্য তাকে সরিয়ে দেওয়া হল। আমার ছেলের খুনের পিছনে তৃণমূল দায়ী। বাবুলালের স্ত্রী মৌসুমি বিশ্বাস বলেন, প্রতিদিনের মতো এদিনও সন্ধ্যায় আমার স্বামী বেরিয়েছিল। সেখান থেকে কেউ বা কারা তার মোবাইলে ফোন করে ডাকে। তার এলাকায় কোনও শত্রু ছিল না। ও আর ফিরে আসবে না। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি চাই। মৃতের বন্ধু প্রণব ঘোষ বলেন, আমাদের এলাকায় সিপিএমের সক্রিয় কর্মী ছিল বাবুলাল। সেই কারণেই সে তৃণমূলের আক্রোশে পড়েছে।
সিপিএমের জেলা কমিটির সম্পাদক সুমিত দে বলেন, তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী দিয়ে আমাদের জনপ্রিয় পার্টি মেম্বারকে খুন করা হয়েছে। কারণ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে লুটের ভোটে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছিলেন বাবুলাল। অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। অন্যদিকে, জেলা সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু বলেন, খুনের রাজনীতি তৃণমূল করে না। যেই খুন হন না কেন সেটা দুর্ভাগ্যজনক। পুলিস তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। জেলার পুলিস সুপার ভিএসআর অনন্তনাগ বলেন, খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার হয়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে। কী কারণে খুন খুব শীঘ্রই তা পরিষ্কার হবে।