কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মণ্ডল বলেন, প্রায় পাঁচ হাজার এরকম বেআইনি কারখানা চলছিল। কোনও অনুমতি না নিয়েই একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী জল তুলে তা বিক্রি করছিল। ভূগর্ভ থেকে জল তোলার জন্য তারা প্রশাসনের অনুমতি নেয়নি। সমস্ত বেআইনি কারখানা অভিযান চালিয়ে বন্ধ করা হবে। প্রয়োজনে ব্যবসায়ীদের জরিমানাও করা হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদে ভূগর্ভস্থ জল তুলে তা ব্যবসায়িক কাজে লাগানোর পন্থা বাম আমল থেকেই চালু ছিল। মাঝে তা নিয়ে একবার অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেইমতো বেআইনি কারখানাগুলি চিহ্নিত করা হয়েছিল। তখনই প্রায় তিন হাজার কারখানা চালু ছিল। সেসময় সেগুলি চিহ্নিত হওয়ার পরেও বন্ধ করা যায়নি। সেকারণে আরও বেশি কারখানা চালু হয়ে যায়। অনেকে বাড়িতে মেশিন বসিয়েও জল তুলে তা বিক্রি করতে থাকে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জল তোলা হয়। কিন্তু সম্প্রতি জেলা প্রশাসন জলসঙ্কটের ইঙ্গিত পাওয়ার পর থেকেই অভিযান শুরু করেছে। অভিযানের খবর পেয়ে অনেকে মেশিন বন্ধ করে দিয়েছে। এক আধিকারিক বলেন, লাগাতার অভিযান না চালানো হলে এই ব্যবসা বন্ধ করা যাবে না। কারণ এই ব্যবসায় লাভ অনেক বেশি। মেশিন বসানোর পর বিদ্যুতের বিল দেওয়া ছাড়া আর কোনও খরচ নেই। যে যেমন খুশি দামে লিটার পিছু জল বিক্রি করতে থাকে। অভিযান চলছে, সেকারণে হয়তো কিছুদিন ব্যবসা বন্ধ থাকবে। আবার কিছুদিন পর সেগুলি চালু হয়ে যাবে। জলসম্পদ দপ্তর এখন অভিযান শুরু করেছে। কোথাও মেশিন বসিয়ে জল তুলতে গেলে পিএইচই এবং জলসম্পদ দপ্তরের অনুমতি দরকার হয়।
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদ আর্সেনিক কবলিত জেলা হিসেবে আগেই চিহ্নিত হয়েছে। সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছে ভরতপুর-২ ব্লক ছাড়া সর্বত্রই আর্সেনিকের প্রকোপ বেশি। পানীয় জল ছাড়া ধানের মাধ্যমেও আর্সেনিক ঢুকছে মানব শরীরে। মাত্রাতিরিক্ত জল তোলার জন্য আর্সেনিকের পরিমাণ বাড়ছে বলে সমীক্ষায় দাবি করা হয়। জেলায় কান্দি, রঘুনাথগঞ্জ, সাগরদিঘি সহ বিভিন্ন ব্লকে বহু সাবমার্সিবল চালু রয়েছে। সেগুলি থেকেও দেদার জল তোলা হয়। কিন্তু চাষের কাজে ওই জল ব্যবহার হওয়ায় সাবমার্সিবল চালু রাখা ছাড়া অন্য কোনও উপায়ও নেই। কিন্তু জেলার বিভিন্ন প্রান্তে মেশিন বসিয়ে জল তুলে তা আর বিক্রি করা যাবে না। যদিও যারা সমস্ত নিয়ম মেনে প্রশাসনের কাছে থেকে অনুমতি পাওয়ার পর জল তুলছে তাদের ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে। সেরকম সংস্থা জেলায় কম রয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এক আধিকারিক বলেন, বহরমপুর শহরের বহু জায়গাতেই ভূগর্ভস্থ জল তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। সেগুলি চিহ্নিত করে ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে।