কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গত ২০আগস্ট পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীঘায় আন্তর্জাতিক মানের কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধন করেন। সেই অনুষ্ঠানস্থল থেকে তিনি দীঘায় জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের কথা বলেন। কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধন শেষ করে তিনি দীঘায় সমুদ্রের ধারে অবস্থিত জগন্নাথ মন্দিরে যান। কিন্তু, সেই মন্দিরটি বেশ ছোট। এই অবস্থায় ওই মন্দির লাগোয়া পাঁচ একর জমির উপর পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে একটি জগন্নাথ মন্দির গড়া হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন। ওই কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সেই ঘোষণার পাঁচদিনের মাথায় তমলুকে এসে সরকারি টাকায় মুখ্যমন্ত্রীর মন্দির তৈরির ঘটনার সমালোচনা করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। দিলীপবাবু বলেন, মোটেই সরকারি উদ্যোগে মন্দির হওয়া উচিত নয়। স্বাধীনতার পর সোমনাথ মন্দিরকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে অনেকেই গান্ধীজির কাছে আবেদন করেন। গান্ধীজি তখন বলেছিলেন, সরকারি টাকায় মন্দির নির্মাণ ঠিক নয়। জনগণের উদ্যোগে এটা করা উচিত এবং সেটাই হয়েছিল। দিলীপবাবু আরও বলেন, রামমন্দিরও সরকার গড়ে দেবে না। আমরা নৈতিক দিক থেকে রামমন্দির স্থাপনকে সমর্থন করি। সাধু সন্তরা রামমন্দির বানাবেন। ধর্মীয় বিশ্বাসের জায়গা থেকে মন্দির, মসজিদ, গির্জা গড়ে তোলা হয়। তার রক্ষণাবেক্ষণ এবং সঞ্চালনা করা হয়। এখানেও তেমনটাই হওয়া উচিত। দীঘায় জগন্নাথ মন্দির করতে চাইলে সরকারি উদ্যোগে জমি জোগাড় কিংবা রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা যেতে পারে। যেমন, পুরীতেও সরকার সহযোগিতা করে। কিন্তু, পুরী মন্দিরের ভিতরে সরকারের হস্তক্ষেপের কোনও জায়গা নেই।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি কচুয়ার ঘটনা সমালোচনা করে বলেন, মন্দিরগুলি ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না। কচুয়ায় একসঙ্গে এতজন মারা গেলেন। অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা। সরকার মঠ, মন্দির নিয়ে আন্তরিক নয়, কচুয়ার ঘটনা থেকে সেটা পরিস্কার। সরকার ওই ঘটনার দায় ঝেড়ে ফেলার মরিয়া চেষ্টা করেছে। তিনি আরও বলেন, নন্দীগ্রাম থেকে রাজ্যে পরিবর্তন হয়েছিল। রাজ্যে আবারও একটি পরিবর্তন শুরু হবে নন্দীগ্রাম থেকেই। ওখানে আমাদের কর্মীদের উপর অত্যাচার চলছে। কিন্তু, লড়াইয়ের জায়গা ছাড়ছেন না। তমলুক সাংগঠনিক জেলায় পাঁচ লক্ষ নতুন সদস্য পূরণ করার টার্গেট ছিল। সেই টার্গেটের ধারেকাছে পৌঁছে গিয়েছে। এখানেও দল বেশ শক্তিশালী হয়েছে। আগামী দিকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।