পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, কোলাঘাট সাপ্লাই অফিস এলাকায় একটি ঠিকাদার সংস্থার অধীনে কাজ করার সময় গত ফেব্রুয়ারি মাসে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার পর ওই ঠিকাদার সংস্থাকে কোনওরকম কাজ দেওয়া হচ্ছে না। শোকজ করার পর বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। এরপর মার্চ মাসে কাঁথি সাপ্লাই অফিসের অন্তর্গত আর একটি ঠিকাদার সংস্থার শ্রমিক একইভাবে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করার সময় মারা যান। সম্প্রতি ওই ঠিকাদার সংস্থাকেও শোকজ করা হয়েছে। কাঁথির ওই ঠিকাদার সংস্থার কর্ণধার কাঞ্চনবাবু স্টেট ইলেক্ট্রিক্যাল কন্ট্রাক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতি। খোদ জেলা সভাপতির সংস্থা শোকজের মুখে পড়ায় ডব্লুবিএসইডিসিএলের উপর পাল্টা চাপ তৈরির কৌশল নিয়েছে ওই ঠিকাদার সংস্থা।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার হাই টেনশন(এইচটি) এবং লো টেনশন(এলটি) লাইন রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিযুক্ত আছে মোট ৭২টি ঠিকাদার সংস্থা রয়েছে। ওই সব ঠিকাদার সংস্থার অধীনে কর্মীরা কাজকর্ম করেন। গত ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসে কোলাঘাট ও কাঁথিতে লাইনে কাজ করার সময় দুই ঠিকাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, ঠিকাদার সংস্থার অধীন কর্মরত শ্রমিকদের যথাযথ সুরক্ষা বিধি মেনে কাজ করতে হবে। যদি উপযুক্ত সুরক্ষা বিধি না মেনে কাজ করার সময় কোনও কর্মীর মৃত্যু হয়, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থাকে সাসপেন্ড করা এবং কালো তালিকাভুক্ত করার এক্তিয়ার রয়েছে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার। কোলাঘাটের ওই ঠিকাদার সংস্থাকে কাজ দেওয়া হচ্ছে না। একইভাবে শাস্তির মুখে পড়েছে কাঁথির ঠিকাদার সংস্থাটিও। ওই সংস্থাকেও শোকজ করা হয়েছে।
সংগঠনের জেলা সভাপতি কাঞ্চনবাবু বলেন, ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসে দু’জন ঠিকাকর্মীর মৃত্যু হয়। দুই ঠিকাকর্মীর পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিয়ম মেনে দেওয়া হয়েছে। তারপরও কোলাঘাটের ওই সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেছে মৃতের পরিবার। এই মুহূর্তে কোলাঘাটের ঠিকাদার সংস্থাকে কোনও কাজ দেওয়া হচ্ছে না। আমার সংস্থাকে শোকজ করা হয়েছে। ডব্লুবিএসইডিসিএলের তমলুক রিজিওনাল ম্যানেজারের অফিস একতরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আমরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি। গোটা বিষয়টি চিফ ইঞ্জিনিয়ার দেখছেন। তিনি বিদ্যুৎ ভবনে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার তমলুক রিজিওনাল ম্যানেজারের অফিসের আধিকারিকদের ডেকেছেন। আপাতত আমরা ওই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছি। সংগঠনের তমলুক ইউনিটের সেক্রেটারি অসিত দত্ত বলেন, লাইনে রক্ষণাবেক্ষণের কাজে মালপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় টালবাহনা করে। অবিলম্বে এধরনের ঘটনা বন্ধ করতে হবে। তাছাড়া ডিভিশন অফিসগুলিতে জমা দেওয়া বিল দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকে। বিশেষ করে কাঁথি ডিভিশনে পেমেন্ট পেতে হিমশিম খেতে হয়। এব্যাপারেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে হস্তক্ষেপ করতে হবে।