দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
শ্যামলবাবু বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার মিডডে মিলে বরাদ্দ কমিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে রাজ্যের বরাদ্দ দিতে কোনও কুণ্ঠাবোধ করেননি। কিন্তু, সংবাদমাধ্যমে মিডডে মিল নিয়ে নানা অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। সেজন্য মুখ্যমন্ত্রী বিদ্যালয় পরিদর্শনে জোর দিয়েছেন। প্রশাসনের আধিকারিকরা ইতিমধ্যে পরিদর্শনে যাচ্ছেন। এদিন আমিও দু’টি স্কুলে গিয়েছি। দু’টি স্কুলেই মিডডে মিলের মান ভালো ছিল। তবে কুচিয়াকোল ইন্দ্রনারায়ণ প্রাইমারি স্কুলে সয়াবিনের তরকারি আরও একটু সুস্বাদু করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিডিও বলেন, স্কুলে মিডডে মিল নিয়ে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা নিয়মিত পরিদর্শন করেন। আমিও মাঝে মধ্যে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাই। তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এদিন মিডডে মিল নিয়ে বিশেষ অভিযান চালানোর নির্দেশ ছিল। সেই মতো এদিন একটি হাইস্কুল ও একটি প্রাইমারি স্কুল পরিদর্শন করা হয়। শ্যামলবাবুকে বিষয়টি জানানোর পর উনিও তাতে উৎসাহী হন। সেই মতো এদিন পরিদর্শনে যাওয়া হয়। দু’টি স্কুলেই মিডডে মিলের মান নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই। তবে কুচিয়াকোল শান্তিপ্রসাদ সিংহ হাইস্কুলে মিডডে মিলের থালা বাসন ধোয়ার পর স্কুল চত্বরেই জল জমছে। তা নিকাশের ব্যবস্থা করার জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
কুচিয়াকোল শান্তিপ্রসাদ সিংহ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সমীর ভট্টাচার্য বলেন, এদিন বিদ্যালয়ে ভাত, ডাল, সয়াবিনের তরকারি ও ডিম সিদ্ধ দেওয়া হয়েছিল। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা তা রান্না করেন। তফসিলি জাতি অধ্যুষিত ওই স্কুলে মোট ৫৮৬জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। তার মধ্যে ৩৯০জন মিডডে মিল খায়। এদিন বিডিও ও মন্ত্রী হঠাৎ স্কুল পরিদর্শনে আসেন। তাঁরা মিডডে মিলের মান খতিয়ে দেখেন। বিদ্যালয়ে জল নিকাশের জন্য ১০বছরের পুরনো শোকপিট ভর্তি হয়ে গিয়েছে। তাই বিদ্যালয় চত্বরে জল জমছে। মন্ত্রী মশাই সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এবিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে হুগলির চুঁচুঁড়ার একটি স্কুলে মিডডে মিলের মেনুতে ফ্যান ভাত ও নুন থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। তার জেরে গোটা রাজ্যে আধিকারিকদের মিডডে মিল পরিদর্শনে জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেইমতো বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের নির্দেশে জয়পুরের বিডিও কুচিয়াকোলে দু’টি বিদ্যালয় পরিদর্শনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সঙ্গে ছিলেন প্রতিমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা।
এদিন প্রথমে তাঁরা কুচিয়াকোল শান্তি প্রসাদ সিংহ হাইস্কুল পরিদর্শনে যান। সেখানে কিচেন শেডে গিয়ে মিডডে মিল খতিয়ে দেখেন। মন্ত্রী কড়াই থেকে নিজে হাতে সব্জি তুলে থালায় নিয়ে চেখে দেখেন। পরে তিনি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তিনি কুচিয়াকোল ইন্দ্রনারায়ণ প্রাইমারি স্কুলে যান। সেখানে তখন কিচেন শেডে সবে মিডডে মিল পরিবেশন শুরু হয়েছে। পড়ুয়ারা লাইন দিয়ে বসেছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা তাদের থালায় খাবার পরিবেশন করছিলেন। এমন সময় মন্ত্রী নিজে থালা নিয়ে পড়ুয়াদের লাইনে মেঝেয় বসে পড়েন। ভাত, সয়াবিন এবং পুঁই সহযোগে কুমড়োর তরকারি দিয়ে মধ্যাহ্নভোজন সারেন।