দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, চার কাঠা জায়গার উপর ১কোটি ২০লক্ষ টাকা ব্যয়ে আবাসনটি গড়ে উঠেছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭সালের ২৩ডিসেম্বর পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আবাসনের শিলান্যাস করেছিলেন। শিলান্যাসের পরেই কলকাতা থেকে একটি দল এসে শহরের রেল স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, বাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় সমীক্ষা চালিয়ে প্রায় ৫০জন ভবঘুরেকে চিহ্নিত করেছিল। প্রায় দেড় বছর ধরে কাজ করার পর ভবনটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। রাজ্য সরকারের রুরাল হোমলেস প্রকল্পের অধীনে তৈরি আবাসনে ৫০জনের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানায় পুরসভা।
লোকসভা নির্বাচন এসে যাওয়ায় তড়িঘড়ি ৯মার্চ উদ্বোধন করা হয়। ফিতে কেটে এবং প্রদীপ জ্বালিয়ে ভালোবাসা ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ ঘোষ, ভাইস চেয়ারম্যান মলয় রায়। পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, নির্বাচন মিটে গেলে আবাসন চালু হয়ে যাবে। থাকা ও দু’বেলা খেতে দেওয়া হবে। কিন্তু, উদ্বোধনের পর প্রায় ছ’মাস হতে চললেও স্থায়ীভাবে দেখা নেই কোনও ভবঘুরের। দু’-একজন এলেও কেউ একবেলা বা এক রাত কাটিয়েই পালিয়ে গিয়েছেন। এব্যাপারে দায় পুরসভার উপরেই চাপিয়েছেন শহরের একটা অংশের নাগরিকরা।
জিয়াগঞ্জ শহরের বাসিন্দা অজয় প্রামাণিক বলেন, পুরসভার ঢিলেমি ও সদিচ্ছার অভাবের কারণেই ভবঘুরেরা এখনও রাস্তায় ঘুরে প্রায় অভুক্ত হয়ে দিন কাটাচ্ছে। আসছে না অজুহাত দিয়ে দায় সারতে চাইছে পুরসভা। পুরসভা একটু তৎপর এবং সদিচ্ছা দেখালে অসহায় মানুষগুলো ছাদের নীচে নিরাপদে দিন কাটাতে পারত।
পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ ঘোষ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আবাসন চালু হলেও ভবঘুরেরা আসছেন না। মাঝে দু’-একজন এলেও স্থায়ীভাবে থাকেননি। শুধু ভবঘুরে নয়, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে অসহায় মানুষদের রাখার জন্য চিন্তাভাবনা চলছে। ভবঘুরেদের নিয়ে আসার জন্য কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছে। ওই সংস্থাগুলি ভবঘুরে খোঁজার কাজ শুরু করেছে।