বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মঙ্গলবার দুপুর ৩টে নাগাদ নিউ দীঘায় ফিতে কেটে অত্যাধুনিক ওই কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, ফিরহাদ হাকিম, ইন্দ্রনীল সেন, সংসদ সদস্য শিশির অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারী, রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি, মুখ্যসচিব মলয় দে প্রমুখ। এদিনের অনুষ্ঠানে বেশকিছু শিল্পগোষ্ঠীর কর্মকর্তারাও উপস্থিত হয়েছিলেন। ১০০০ আসন বিশিষ্ট অডিটোরিয়াম, ১৫০আসন বিশিষ্ট কনফারেন্স হল এবং ৬৫টি রুমের বিজনেস হোটেল নিয়ে এই অত্যাধুনিক কনভেনশন সেন্টার আগামী দিনে দীঘায় শিল্প সম্মেলন সহ যেকোনও বড় অনুষ্ঠানের সেরা ঠিকানা হয়ে উঠবে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী ওই কনভেনশন সেন্টারের নামকরণ করেন দীঘাশ্রী বাংলা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার।
এই মুহূর্তে কলকাতা-দীঘা হেলিকপ্টার সার্ভিস সপ্তাহে একদিন চালু আছে। ওই পরিষেবা যাতে সপ্তাহে সাতদিন চালু করা যায়, তা নিয়ে মন্ত্রী এবং অফিসারদের সঙ্গে আলোচনা সারেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখানে স্থায়ী হেলিপ্যাড আছে। সেখানে সবদিন হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু হোক, এটাই চাই। আগে শনিবার, রবিবার করে পর্যটকরা দীঘায় আসতেন। এখন সপ্তাহে প্রতিদিন মানুষজন দীঘায় আসেন। পাশাপাশি আমি চাই, দীঘায় সি-প্লেন নামুক। দীঘায় জগন্নাথধাম সংস্কৃতি ক্ষেত্রকে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে গড়ে তোলা হবে। জেলাশাসক একটি পূর্ণাঙ্গ ডিপিআর শীঘ্রই তৈরি করে দেবেন। তাজপুরে আরও একটি বন্দর গড়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রতিনিধি এবং পুরসভার প্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন, সমুদ্রের ধার বরাবর জায়গায় ১০জনের জন্য যেন ১০লক্ষ মানুষের অসুবিধা না হয়। যেখানে সেখানে স্টল বসিয়ে নোংরা ফেললে হবে না। নিজেদের স্বার্থের জন্য সমুদ্রের ধার ঘেঁষে এরকম কিছু করতে দেবেন না। এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিন। এখানে তো ১২০০স্টল করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পুলিস প্রশাসনের উদ্দেশেও তিনি বলেন, দীঘায় আসা যাওয়ার ব্যাপারে পর্যটকরা যেন কোনওভাবে বিরক্ত না হন। মনে রাখতে হবে, পর্যটকরা হলেন আমাদের লক্ষ্মী। এভাবে দার্জিলিং পর্যটনকেন্দ্রের ক্ষতি হয়েছে। পর্যটন শিল্পে বিকাশ ঘটলে আনুষঙ্গিক অনেককিছু এগিয়ে যাবে। ঘটিগরম, ঝালমুড়ি কিংবা সব্জির দোকান দিলেও অনেক টাকা রোজগারের সুযোগ থাকে। তিনি আরও বলেন, ভোর ৩টে নাগাদ আমি মেরিন ড্রাইভ বরাবর হাঁটতে বেরিয়েছিলাম। কিছু জায়গায় প্লাস্টিক পড়ে আছে দেখলাম। এলাকাকে পরিষ্কার রাখতে সকলেই উদ্যোগী হোন। পাশাপাশি সবার ক্ষেত্রে বলছি, লোভটাকে সংবরণ করুন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সোজা ওল্ড দীঘায় জগন্নাথধাম সংস্কৃতি ক্ষেত্র পরিদর্শনে যান। পর্যটন দপ্তরের উদ্যোগে আজ, বুধবার ওই জগন্নাথধাম সংস্কৃতি ক্ষেত্রের সৌন্দর্যায়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে প্রথম পর্যায়ে ২কোটি ২৪লক্ষ টাকা ব্যয়ে কাজের শুভারম্ভ হওয়ার কথা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী ওই জগন্নাথধামের নক্সা হাতে নিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দিরের আদলে এখানে মন্দিরটি সাজানো হবে। পুরীতে যেমন পর্যটকরা সমুদ্র দেখতে গিয়ে মন্দিরে পুজো দেন, এখানেও সেই একই ব্যবস্থা করা হবে।
এদিন কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, হলদিয়ায় বেশকিছু শিল্পগোষ্ঠী বিনিয়োগে উদ্যোগী হয়েছেন। আমি কথা দিচ্ছি, এই কনভেনশন সেন্টারেই প্রথম মউ চুক্তি স্বাক্ষর করব।