কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, নীলরতনবাবু অডিটে তাঁকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে বলে বারবার একাধিক জায়গায় দাবি করছেন। অথচ অডিটের চূড়ান্ত রিপোর্ট এখনও পুর কর্তৃপক্ষের কাছে আসেনি। ইন্টারনাল অডিটের পর তা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ফাইনাল রিপোর্ট কর্তৃপক্ষর কাছে আসবে। তবে ইন্টারনাল রিপোর্টে পুরসভার কাজ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বিশেষ করে এক ফান্ডের টাকা অন্য ফান্ডে কেন খরচ করা হয়েছিল তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। একটি সংস্থাকে কাজ পাইয়ে দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এরমধ্যেই পুরসভার টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ জমা পড়ে। বেশ কয়েকজন লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, কাটমানি নিয়ে ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই অভিযোগের সত্যতাও তদন্তকারীরা পেয়েছেন। তারপরেই পুরসভার এক আধিকারিককে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুরসভা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে একটি প্রকল্পে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। অথচ তাঁকে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে বসিয়ে দেওয়া হয়। একজন অস্থায়ী কর্মী কীভাবে ওই পদে বসেন তা নিয়ে বহুদিন ধরেই পুরসভায় চর্চা চলছিল। ওই কর্মীর পদোন্নতিও প্রাক্তন চেয়ারম্যানের আমলেই হয়েছিল।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সময়ে দল পরিচালিত পুর বোর্ডের কাজ নিয়ে এভাবে একের পর এক দুর্নীতির তথ্য ফাঁস হতে শুরু করায় নেতৃত্ব চাপে রয়েছে। সামনেই এই পুরসভার ভোট রয়েছে। বিরোধীরা এই সব তথ্যকে হাতিয়ার করে ময়দানে নামতে পারে। তাই কীভাবে পরিস্থিতির ড্যামেজ কন্ট্রোল করা যায় তা নিয়ে নেতৃত্বের কপালে ভাঁজ পড়েছে। দলের একাংশও পুরনো বোর্ডের কাজে ক্ষুব্ধ। তাদের মতে, শহরের উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্পে বহু টাকা বরাদ্দ করেছিল। সেই টাকায় ঠিকমতো প্রকল্পের কাজ হলে লোকসভা নির্বাচনে শহরবাসীর মন জয় অনেকটাই সহজ হতো। উন্নয়নের টাকার কাটমানি খাওয়ার খেসারত লোকসভা নির্বাচনে দলকে দিতে হয়েছে। যদিও মুর্শিদাবাদের তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি অশোক দাস বলেন, আমাদের দল দুর্নীতি সমর্থন করে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করি। জনগণকে উন্নত পরিষেবা দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।
পুরসভা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিভিন্ন প্রকল্পের অনিয়মের তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। আধিকারিকরা ওই সমস্ত প্রকল্পের যেসমস্ত নথি প্রাথমিকভাবে খতিয়ে দেখেছেন তাতেও ইতিমধ্যেই অনিয়মের হদিশ পেয়েছেন। তাই সেই সমস্ত তথ্য সামনে এলে পুরনো বোর্ডের দায়িত্বে থাকা জনপ্রতিনিধিদের আরও বেশি প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে। বিশেষ করে ওয়াটার এটিএম বা কর্মতীর্থ তৈরি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন রয়েছে। এই সমস্ত প্রকল্পের কাজ ঠিকমতো হয়নি বলেই আধিকারিকরা তথ্য পেয়েছেন।