কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল বলেন, বুথ স্তরের কর্মীরাই দলের মূল হাতিয়ার। তাই ওই স্তরটির উপরেই আমরা সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। কোথাও কোনও সক্রিয় কর্মী যাতে কমিটি থেকে বাদ না পড়ে সেদিকে নজর রাখছি। কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ প্রসঙ্গে শুভাশিসবাবু বলেন, সক্রিয়ভাবে কাজ না করে কারও অনুগামী হয়েই যাতে কেউ কমিটিতে থাকতে না পারে সেজন্যই আমরা এবার গঠন কাঠামোয় পরিবর্তন এনেছি। তবে প্রতিটি স্তরেই যাঁরা আগের কমিটিতে থেকে অনিয়মের অভিযোগ ছাড়া সক্রিয় কাজ ভাবে কাজ করেছেন তাঁদের নতুন কমিটিতে রাখতে বলা হয়েছে। বুথ ও গ্রাম পঞ্চায়েতস্তরে নতুন কমিটি গঠন করতে বলা হলেও ব্লক এবং জেলা কমিটি গঠনের পর জেলা থেকেই চুড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে। প্রয়োজনে সংযোজন বিয়োজনও করা হবে।
প্রসঙ্গত, বাঁকুড়া জেলার ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জেলার ১২টি কেন্দ্রের মধ্যে তৃণমূল সাতটিতে জয়ী হয়। কিন্তু পরে বাঁকুড়ার বিধায়ক সম্পা দরিপা, ছাতনার বিধায়ক ধীরেন লায়েক ও বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। কিন্তু তারপরেও সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনে জেলার বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর দুটি কেন্দ্রের ১২ টি বিধানসভাতেই শাসকদলকে ধরাশায়ী করে ব্যাপক লিড নিয়ে বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হন। তাই নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরেই দলের নির্দেশে প্রথমে জেলা কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। পরে সমস্ত কমিটি ভেঙে দিয়ে বাঁকুড়া জেলাকে লোকসভা কেন্দ্র অনুযায়ী দুটি সাংগঠনিক জেলায় ভাগ করে দেয় রাজ্য নেতৃত্ব। পাশাপাশি জেলা সভাপতি অরূপ খাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে শুভাশিস বটব্যালকে বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা ও শ্যামল সাঁতরাকে বিষ্ণপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করে দল। এরপর বেশকিছুদিন চুপচাপ থাকার পর নিচুতলার সংগঠনকে মজবুত করতে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছেন দুই সাংগঠনিক জেলার সভাপতি। এজন্য প্রথম স্তর হিসাবে বুথ কমিটি গঠনের কাজ শুরু করেছে শাসক দল। প্রতিটি বুথ কমিটিতে ১৫ সদস্যের কমিটি করা হচ্ছে। এজন্য দলের তরফে একটি গাইড লাইন তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বুথ কমিটিতে একজন করে তপসিলি জাতি, উপজাতি, সংখ্যালঘু, যুব, মহিলা, শিক্ষক, চিকিৎসক ও সোশ্যাল ওয়ার্কারকে অবশ্যই রাখতে বলা হয়েছে। বাকি ৭ থেকে ৮ জন দলের সক্রিয় কর্মীকে রাখতে বলা হয়েছে। বুথ কমিটির মতোই গ্রাম পঞ্চায়েতের পরিধি অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৫ সদস্যের কমিটি গঠন করার পরিকল্পনা নিয়েছে তৃণমূল। এছাড়াও সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই প্রতিটি ব্লকেই কমপক্ষে ১৫ জন সদস্যের কোর কমিটি করতে বলা হয়েছে। ওই কমিটিতে বিধায়ক, পুরসভার চেয়ারম্যান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের আমন্ত্রিত সদস্য হিসাবে রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়াও একই সময়ের মধ্যে দুটি সাংগঠনিক জেলাতেই ২৫ সদস্যের জেলা কোর কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় শাসক দল। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে প্রতিটি ব্লকে কমিটি কিভাবে গঠন হবে তা বোঝাতে ব্লক স্তরে বৈঠক করেছেন জেলা সভাপতিরা। কিন্তু তার পরেও নিচুতলায় কর্মীদের মধ্যে এখন থেকেই কমিটিতে থাকা না থাকা নিয়ে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হতে শুরু করেছে।