বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর জেলায় ডেঙ্গুতে ১৬২জন আক্রান্ত হয়েছেন। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের চিকিৎসা করানো হয়। নওদা, বেলডাঙাসহ আরও কয়েকটি জায়গায় সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। মুর্শিদাবাদের বহু যুবক বাইরে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে যান। সেখান থেকেও বিভিন্ন সময় অনেকেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আসেন। তাই তাঁরা যখন ঘরে আসে তখন ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো হয়। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ডেঙ্গু নিয়ে ইতিমধ্যেই নজরদারি শুরু হয়েছে। জেলার পুর কর্মীরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সার্ভে করছেন।
বহরমপুরের মহকুমা শাসক দীপাঞ্জন মুখোপাধ্যায় বলেন, বহরমপুর শহরে অনেক আগে থেকেই সার্ভের কাজ শুরু হয়েছে। পুরকর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘরে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলছেন। কারও জ্বর হলে তাঁকে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
চিকিৎসকরা বলেন, ডেঙ্গু জ্বরের কয়েকটি সাধারণ লক্ষণ রয়েছে। ডেঙ্গু হলে হঠাৎ করেই তীব্র জ্বর আসে। মাথাব্যথা শুরু হয়। চোখের পিছনে, পেশিতে এবং গাঁটে ব্যথা হয়। খাবারে রুচি থাকে না। সবসময় বমিবমি ভাব থাকে। পেটে যন্ত্রণাও হয়। বুকে, পিঠে এবং বাহুতে হামের মত ফুসকুড়ি দেখা যায়। নাক, মুখ এবং মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ হতে শুরু করে। ত্বকে কালচে বা লাল চাকা চাকা দাগ দেখা যায়। এই সমস্ত লক্ষ্মণ দেখা গেলেই হাসপাতালে যাওয়া উচিত বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, ডেঙ্গু হলে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সঠিক সময়ে গিয়ে চিকিৎসা করালেই সুস্থ হওয়া যায়। তবে ওই ধরনের লক্ষ্মণ দেখা গেলে কখনই রোগীকে বাড়িতে ফেলে রাখা উচিত নয়।