গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ধৃতের স্ত্রী সন্ধ্যা সাহার অভিযোগ, চিরঞ্জিৎবাবু ফেসবুকে একাধিক মহিলার সঙ্গে অশ্লীল ভাষায় মেসেজ করেন। শরীরের নোংরা ছবি ও ভিডিও লেনদেন করেন। তাঁর কুকীর্তি প্রকাশ্যে এলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। তাতেই স্ত্রীর উপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওই রাতে সন্ধ্যাদেবীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। বছর আড়াইয়ের শিশুসন্তানকে কুয়োতে ফেলে খুন করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। যদিও অভিযুক্ত নেতা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক চিরঞ্জিৎবাবু দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের এ-জোন এলাকার বাসিন্দা। আরএসএসের শিক্ষক সংগঠনের পশ্চিম বর্ধমান জেলার সম্পাদক পদে রয়েছেন। এছাড়াও ২০১৭ সালে দুর্গাপুর পুরসভা নির্বাচনে তিনি ১০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়ান। চলতি মাসে ৫ আগস্ট তাঁর একাধিক মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর ছবি ও কথোপকথন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায়। অভিযোগকারী তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যা সাহা বলেন, আমার বাপের বাড়ি বেনাচিতি এলাকায়। পাঁচ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে হয় আমাদের। শ্বশুরবাড়িতে সমস্যা থাকায় আমরা সন্তান সহ ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের নতুনপল্লি এলাকায় একটি বাড়ি কিনে বসবাস শুরু করি। গত বছর দুর্গাপুজোর আগে হঠাৎই স্বামীর উপর সন্দেহ হয়। তখন তাঁর স্মার্টফোনে ফেসবুক প্রোফাইল থেকে একাধিক মহিলার সঙ্গে নোংরা নোংরা কথোপকথন দেখতে পাই। সেই সময় চিরঞ্জিৎ ক্ষমা চেয়ে ওইসব সম্পর্ক থেকে দূরে থাকবে বলে কথা দেয়। কিন্তু, ওর স্বভাব বদলায়নি। ফের একাধিক মহিলা, যুবতী ও কিশোরীর সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে অশ্লীল ভাষায় কথোপকথন ও আপত্তিকর ছবি এবং ভিডিও আদানপ্রদানের বিষয়টি নজরে পড়ে। এই সমস্যা নিয়ে আমার বাপেরবাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন সবাইকে জানিয়েছিলাম। কেউ বিশ্বাস করেনি। এরপর বাধ্য হয়ে ওইসব কুকীর্তির বিষয়গুলি স্ক্রিন শট নিয়ে নিজের ফেসবুক প্রোফাইল সহ রাজনৈতিক ও সাংবাদিকদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দিয়েছিলাম। পুলিসকেও বিষয়টি মৌখিকভাবে জানিয়েছিলাম। যাতে ওকে বুঝিয়ে শোধরানো যায়। কিন্তু এই সব ঘটনার জন্য আমার উপর ওর ক্ষোভ জন্মায়। ওইদিন রাত ৯টা নাগাদ আমি বাড়িতে ছিলাম। হঠাৎই বাচ্চাকে দেখার নামে বাড়িতে এসে আমার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে খুন করার চেষ্টা করে। বাচ্চাকে কুয়োতে ফেলে খুন করার হুমকি দিতে থাকে। আমার চিৎকার চেঁচামেচি করায় আওয়াজ পেয়ে এলাকার বাসিন্দারা বেরিয়ে আসেন। কোনও রকমে আমি ও আমার ছেলে এদিন রক্ষা পেয়েছি।
যদিও চিরঞ্জিৎবাবু বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে আমার নামে। আমাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিজেপির সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, চিরঞ্জিৎ ধীবর বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি আমাদের দলের কর্মী। কিন্তু দলের কোনও দায়িত্বে ছিলেন না। তিনি একজন স্কুল শিক্ষক। এই ধরনের ঘটনা তাঁর কাছ থেকে কাম্য নয়। পুলিস প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। আমাদের কোনও আপত্তি নেই। দোষ করলে তাঁর অবশ্যই সাজা হওয়া উচিত।