রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বাঁকুড়া জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রসূন কুমার দাস বলেন, হাসপাতালে রোগীর পরিজনদের জন্য নাইট শেল্টার হলে তাঁরা উপকৃত হবেন।
বিষ্ণুপুর পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার রবীন্দ্রনাথ সরকার বলেন, বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে একটি ছোট রুম বানানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকায় তা চালু নেই। রাত্রিনিবাসের জন্য একদিন আগে বরাদ্দ অর্থ পুরসভার অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। শীঘ্রই এবিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসব।
বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আগে গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাই নড়বড়ে ছিল। মুখ্যমন্ত্রী বিনামূল্যে রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা, কম দামে ওষুধ, হাজার হাজার নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসক নিয়োগ করেছেন। সব মিলিয়ে গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাই তিনি আমূল বদলে দিয়েছেন। রোগীর পরিজনদের রাতে থাকার অসুবিধা হচ্ছিল। সেটা তাঁর কানে পৌঁছতেই তিনি তারও সমাধানে উদ্যোগী হয়েছেন।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গোবিন্দনগর মেন ইউনিট ও লোকপুর ইউনিটে দু’টি নাইট শেল্টার তৈরি হবে। বড়জোড়া, ওন্দা ও ছাতনা এই তিনটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতাল ও খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে একটি করে নাইট সেল্টার তৈরি হবে। এছাড়াও সোনামুখী, অমরকানন, রাইপুর, কোতুলপুর ও তালডাংরা এই পাঁচটি গ্রামীণ হাসপাতাল এবং কাঞ্চনপুর, খাতড়া, আঁচুড়ি, পাত্রসায়র, মেজিয়া, রানিবাঁধ, শালতোড়া, ওন্দা, জয়পুর, ইন্দাস, সিমলাপাল, রাধানগর, সারেঙ্গা, হীড়বাঁধ ও ইন্দপুর এই ১৫টি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রত্যেকটিতে একটি করে নাইট শেল্টার গড়ে তোলা হবে।
স্থানীয় ও স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিভিন্ন বিভাগ মিলিয়ে রোজ গড়ে এক হাজারেরও বেশি রোগী ভর্তি থাকেন। বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালেও গড়ে ৫০০রোগী ভর্তি হন। খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে আড়াইশোর বেশি রোগী ভর্তি হন। ছাতনা, বড়জোড়া ও ওন্দা এই তিন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেও গড়ে শতাধিক রোগী ভর্তি থাকেন। তার মধ্যে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একটি নাইট শেল্টার থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। বিষ্ণুপুরে একটি রুম কয়েকবছর আগে তৈরি করা হলেও উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে তা খোলা হয় না। বাকি অধিকাংশ হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগীর পরিজনদের রাতে থাকার মতো ব্যবস্থা নেই। তাই বাধ্য হয়ে রোগীর পরিজনদের গাছের তলায় অথবা হাসপাতালের দাওয়ায় বসে রাত কাটাতে হয়। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন মহিলারা। তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের কাছ থেকে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এমনকী মহিলাদের শ্লীলতাহানির মতো ঘটনাও ঘটেছে। তাই দীর্ঘদিন ধরে রোগীর পরিজনদের রাতে থাকার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়েছে। দাবি মেনে সম্প্রতি এবিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ায় তাঁরা খুশি।