গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এদিন জেলাশাসকের গণঅভিযোগ কেন্দ্রে জানানো অভিযোগপত্রে অপূর্ববাবু জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে রাহুলকুমার বাগ এলাকারই লক্ষ্মণপুর হাইস্কুলের ছাত্র ছিল। ছেলের সঙ্গে চাকড়াশোল গ্রামের এক সহপাঠীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্কের কথা জানতে পারার পর থেকেই মেয়েটির বাবা রাহুলকে তাঁর মেয়ের সঙ্গে মেলামেশা না করার জন্য হুমকি দিচ্ছিল। ইতিমধ্যে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়ে যায়। সিমলাপাল মদনমোহন হাইস্কুলে রাহুলের পরীক্ষার সেন্টার পড়ে। ২৮ ফেব্রুয়ারি ইংরেজি পরীক্ষা দিয়ে ছেলে বাইরে বেরনোর পরই তাকে ও তার সহপাঠীকে পাশে ডেকে নিয়ে যায় ওই মেয়েটির বাবা। এরপর রাহুলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে। সেই ঘটনা পরীক্ষা দিতে আসা সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা দেখে। ঘটনার পরই বাড়ি ফিরে অপমানে কীটনাশক খায় রাহুল। ১ মার্চ বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে প্রথমে সিমলাপাল হাসপাতালে ও পরে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৩ মার্চ সেখানেই ছেলের মৃত্যু হয়। তারপর তিনি ছেলের সহপাঠীর বাবার বিরুদ্ধে সিমলাপাল থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগ দায়ের করার পর পুলিস প্রথমে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিস সুপারের সঙ্গে দেখা করার পর পুলিস অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। যদিও পরে সে জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়।
এদিন অপূর্ববাবু জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ করেন, জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর থেকেই অভিযুক্ত কখনও নিজে আবার কখনও লোক দিয়ে তাঁকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ। মামলা তুলে না নিলে গোটা পরিবারকে শেষ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। মৌখিকভাবে পুলিসকে জানালেও পুলিস কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তাই স্ত্রী ও আরএক সন্তানকে নিয়ে তিনি আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। তাই বাধ্য হয়ে এদিন তিনি জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন। জেলাশাসকের কাছে তাঁর পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা ও ছেলেকে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দেওয়ার জন্য অভিযুক্তর শাস্তির দাবি জানান। তবে একাধিকবার চেষ্টা করেও অভিযুক্তের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।