কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শনিবার ঝালদা-১ ব্লক এলাকায় পরিদর্শনে যান পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা। সেইসময় পাঁড়রি গ্রামের বাসিন্দারা স্থানীয় রেশন ডিলার শক্তি মণ্ডলের বিরুদ্ধে বরাদ্দ চালের থেকে কম চাল দেওয়ার অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে খামার গ্রামে শক্তি মণ্ডলের রেশন দোকানে হানা দেন। অভিযোগের বিষয়ে ওই রেশন ডিলার এবং ওই দোকানে থাকা তাঁর ছেলে ত্রিলোচন মণ্ডলের কাছে আধিকারিকরা জানতে চান। সেই সময় ত্রিলোচনবাবু জেলাশাসককে জানান, মাওবাদীরা রেশন সামগ্রী নিয়ে যায়। তাই সাধারণ মানুষের বরাদ্দ কমে যায়। এছাড়াও বরাদ্দ কম দেওয়ার বিষয়ে তিনি আরও বেশকিছু যুক্তিদেন। বিষয়টি চাউর হতেই হইচই পড়ে যায় জেলার প্রশাসনিক ও পুলিস মহলে।
খামার সহ ঝালদা থানার বিস্তৃত এলাকা একসময় মাওবাদী উপদ্রুত থাকলেও বর্তমানে তেমন কোনও ঘটনার খবর শোনা যায়নি। রেশন দোকান থেকে মাওবাদীদের চাল নিয়ে যাওয়ারও কোনও লিখিত অভিযোগও করেননি ওই রেশন ডিলার বা অন্য কোনও ডিলার। এবিষয়ে ঝালদার এসডিপিও সুমন্ত কবিরাজ বলেন, জেলাশাসকের ওই কর্মসূচিতে পুলিস আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন না। তবে পরে বিষয়টি শুনেছি। ইতিমধ্যে খোঁজ নেওয়া শুরু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি, নিজের গাফিলতি ঢাকতেই ওই রেশন ডিলার মাওবাদীদের নাম ব্যবহার করেছে। তবে এবিষয়ে তদন্ত চলছে। ওই রেশন ডিলারের সঙ্গে মাওবাদীদের সাহায্যকারী বা মাওযোগ পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবিষয়ে রবিবার খামার গ্রামের রেশন ডিলার শক্তি মণ্ডল ও তাঁর ছেলে বলেন, মাওবাদী যোগের কোনও বিষয়ই নেই। শনিবার জেলাশাসক সহ অন্যান্য আধিকারিকদের একসঙ্গে দেখে খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ভয়ে পেয়েই ভুল করে মাওবাদীদের কথা বলেছিলাম। মাওবাদীরা সম্প্রতি আমার দোকান থেকে কোনও চাল নিয়ে যায়নি। তবে কয়েকবছর আগে একবার নিয়ে গিয়েছিল।
ঝালদার মহকুমা শাসক সুশান্ত কুমার ভক্ত বলেন, অভিযোগ পেয়েই ওই রেশন দোকানে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে নিজেকে বাঁচাতে অনেককিছু বলার চেষ্টা করছিলেন ওই রেশন ডিলার। মাওবাদীদের রেশন সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সেভাবে খেয়াল করিনি।
জেলাশাসক বলেন, ওই রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। রেশন সামগ্রী কম দেওয়া থেকে শুরু করে মাত্র তিনদিন খোলা রাখত। এছাড়াও সামগ্রী দেওয়ার কোনও রসিদও দেখাতে পারেননি ওই ডিলার। নিজের গাফিলতি ঢাকার চেষ্টায় মাওবাদীদের নাম করে গল্প ফাঁদার চেষ্টা করেছিল। পুরোটাই মিথ্যা গল্প। ওই রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।