পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয়রা অভিযোগপত্রে লিখেছেন, মৃত ব্যক্তির নামে ১০০দিনের কাজে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। ১৪বছর আগে মারা গিয়েছেন এমন ব্যক্তির নামেও টাকা তোলা হয়েছে। এরকম পাঁচজনের নামে টাকা উঠেছে বলে দাবি করা হয়েছে। এছাড়া সরকারি কাজ করেন এমন ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্টে এই প্রকল্পে টাকা পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ। সরকারি চাকুরিজীবীদের মধ্যে শিক্ষক যেমন রয়েছেন তেমনই সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছেন। অভিযোগকারী এক ব্যক্তি বলেন, এলাকার বেশ কয়েকজন নাবালককেও কাজ দেওয়া হয়েছে বলে খাতায় কলমে দেখানো হয়েছে। এভাবে কয়েক লক্ষ টাকা ১০০দিনের প্রকল্পে অনিয়ম করা হয়েছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে কাজ না করেই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধান মিতালি সাহা বলেন, এটা বিরোধীদের কুৎসা। এছাড়া তো ওদের কোনও কাজ নেই। কোনও কোনও অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে হয়তো ভুল হতে পারে। সেসব তো আর আমি দেখি না। কিন্তু কাজে কোনও অনিয়ম হয়নি।
অভিযোগকারীদের দাবি, সম্প্রতি ১০০দিনের কাজ প্রকল্পে ১৯টি কাজ করা হয়েছে। তার মধ্যে বেশ কিছু জায়গাতে কাজ না করেই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এলাকার কয়েকটি পুকুর কাটা হয়েছে বলে খাতায় কলমে উল্লেখ রয়েছে। নথির সঙ্গে বাস্তবের যে কোনও মিল নেই তা এলাকায় পৌঁছলেই ভালো বোঝা যায়। মাস্টাররোলে অনেক ভুয়ো নাম ঢুকিয়ে টাকা তোলা হয়েছে। সরকারি চাকরি করলে কখনই কেউ এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন না। তা সত্ত্বেও চাকুরিজীবীদের নামে টাকা তোলা হয়েছে। কী করে এটা হয়েছে তা তদন্ত হওয়া দরকার। যেসব চাকুরিজীবীদের নামে টাকা উঠেছে তাদেরও জেরা করা দরকার।
প্রসঙ্গত, ১০০দিনের কাজ নিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে অভিযোগ আসতে শুরু করায় সম্প্রতি বেশ কিছু নতুন গাইড লাইন পাঠানো হয়েছে। সরকারি নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুর কাটা যাবে না। রাস্তা সংস্কার করা যাবে না। এই দু’টি কাজে সবচেয়ে বেশি অনিয়ম হতো বলে অভিযোগ। তাই এই দু’টি কাজে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় অনিয়ম অনেকটাই কমবে বলে আধিকারিকরা মনে করছেন। এক আধিকারিক বলেন, অনেক গ্রামেই প্রভাবশালীরা স্থানীয়দের জবকার্ড নিজেদের কাছে রেখে দিত। তাদের নামে ভুয়ো মাস্টাররোল তৈরি করে টাকা তুলে নিত। সরকারি নথিতে উল্লেখ করার জন্য মেশিন দিয়েও তারা নাম কা ওয়াস্তে পুকুর কাটত। কিন্তু অনিয়ম রুখতে সরকার বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ায় দুর্নীতি অনেকটাই কমে যাবে। এমনটাই মনে করছেন আধিকারিকরা। প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি বন্ধ করার জন্য সম্প্রতি জেলার সমস্ত পঞ্চায়েত প্রধানদের ডেকে ই-টেন্ডার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বহরমপুরের একটি হলে তা নিয়ে একটি কর্মশালারও আয়োজন করা হয়েছিল।
মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মণ্ডল বলেন, সব কাজই ই-টেন্ডারের মাধ্যমে করতে হবে বলে প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনও অভিযোগ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা পরিষদে অভিযোগ বক্সও বসানো হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বেলডাঙার ওই পঞ্চায়েত এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে রেষারেষি রয়েছে। তাই অভিযোগ পাওয়ার পর প্রশাসন সতর্কভাবেই তা দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অভিযোগকারীরা বেশ কিছ নথি জমা দিয়েছেন। সেগুলি ধরে তদন্ত হবে। তবে প্রাথমিকভাবে আধিকারিক কাজে অনিয়মের ইঙ্গিত পেয়েছেন।