কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্থানীয় তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের বিভিন্ন রাস্তার উপর দিদিকে বলো ফ্লেক্স ঝোলানো হয়েছে। টাঙানো হয়েছে দলীয় পতাকা। অঞ্চল কমিটি থেকে ব্লক কমিটির নেতারা ওই কর্মসূচিতে এলাকায় ঘুরছেন। কখনও চায়ের দোকানের আড্ডায়, আবার কখনও বাসিন্দাদের বাড়িতে বসে এই কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা চলছে। নেতারা যেমন বাসিন্দাদের অভাব অভিযোগ শুনছেন তেমনই দিদিকে বলো মোবাইল নম্বর দিয়ে তাঁদের সমস্যার কথা জানাতে বলছেন।
এব্যাপারে খড়গ্রাম ব্লক তৃণমূল সভাপতি মফিজউদ্দিন মণ্ডল বলেন, প্রায় একমাস ধরে এলাকায় দিদিকে বলো কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। ব্লক এবং অঞ্চল নেতৃত্ব গোটা এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। মানুষের সঙ্গে মিশে তাঁদের সমস্যা জানছেন। সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হচ্ছেন কর্মীরা।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে ওই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এলাকায় বেশ কিছু মিটিং মিছিল হয়েছে। গ্রামে গ্রামে প্রচার করা হয়েছে। বিলি করা হয়েছে, দিদিকে বলো নম্বর লেখা গেঞ্জি, মোবাইল স্টিকার। এমনকী, স্থানীয় বিধায়ক গ্রামে গ্রামে গিয়ে প্রচার শুরু করছেন। রাত কাটাচ্ছেন দলীয় নির্দেশমতো কোনও বাসিন্দার বাড়িতে। সেখানেই খাওয়া দাওয়া সারছেন। তবে এই প্রচারে গিয়ে নেতৃত্বকে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। বাসিন্দারা বিভিন্ন ধরনের অভিযোগে বিঁধছেন নেতাদের। কেউ বলছেন বর্ষায় একটি ত্রিপল পাননি। কেউ অভিযোগ করছেন, নিকাশি নালা সংস্কার করা নিয়ে বারবার পঞ্চায়েত সদস্যকে বলা হলেও তিনি আমল দিচ্ছেন না। কেউ আবার ছাগল বিলি নিয়ে পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করছেন। তবে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আবাস যোজনার ঘর পেতে কাটমানি দেওয়া নিয়ে। বিশেষ করে পারুলিয়া পঞ্চায়েত এলাকায় এই অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। ওই এলাকার কয়েকশো বাসিন্দা নেতাদের কাছে কাটমানি নেওয়ার প্রসঙ্গ তুলেছেন।
এব্যাপারে দলের ব্লক সভাপতি মফিজউদ্দিন সাহেব বলেন, কাটমানি দেওয়ার প্রসঙ্গ উঠছে ঠিকই। তবে এতে আমাদের নেতাদের খুব একটা অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে না। কারণ অভিযুক্ত নেতাকে গ্রেপ্তার করার জন্য আমরাই পুলিসকে জানিয়েছি।
এদিকে বিধায়ক আশিস মার্জিতের নেতৃত্বে এলাকায় এই কর্মসূচি চলছে। ইতিমধ্যে তিনি কর্মসূচির নিয়ম মেনে কোনও একটি গ্রামে একজনের বাড়িতে রাত কাটাচ্ছেন। শনিবার তিনি স্থানীয় ঝিকড়হাটি গ্রামের আশিস ঘোষের বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করলেও রাতে সুকুমার গড়াইয়ের বাড়িতে ঘুমোন। বিধায়ক বলেন, কর্মসূচিতে মানুষের ভালোবাসা পাচ্ছি। উন্নয়ন নিয়েও মানুষের কোনও অভিযোগ নেই। তবে এলাকার নেতৃত্বের আচরণের প্রতি মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। আর আমি অতি সাধারণ ঘরের ছেলে। তাই কোথাও রাত কাটাতে আমার কোনও অসুবিধা হয় না।