বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের বেশকিছু জায়গায় কোমর সমান জল দাঁড়িয়েছিল। ৪, ১০ ও ১১নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় হাইড্রেন সাফাই করতে জেসিবি মেশিন নামানো হয়েছিল। ৯ ও ১০নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন খাঁ পাড়া, ১৮নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন স্টেশন এলাকা এবং ১২ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডে পাম্প চালিয়ে জল নামানো হয়েছে। ৮নম্বরের ওয়ার্ডের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ ছিল। ১৪নম্বর ওয়ার্ডেও পাম্প চালিয়ে জল নামানো হয়েছে। শহরের উঁচু এলাকা হিসেবে পরিচিত ৬নম্বর ওয়ার্ডে এদিন ড্রেনের জল উপচে বাড়িতে ঢুকে পড়ে। চূড়ান্ত নাজেহাল হন বাসিন্দারা।
কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রেও জল থইথই করছিল। যদিও উৎপাদনে কোনও ব্যাঘাত ঘটেনি বলে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে। মেচেদা বাজারে অনেক দোকানঘর জলমগ্ন হয়ে পড়ে। সকাল থেকে অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল। কোলাঘাট ও পাঁশকুড়ার অনেক পুকুর ভেসে গিয়েছে। যারফলে পুকুরের মাছ বেরিয়ে গিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
তমলুকের নিমতৌড়িতে নবনির্মিত প্রশাসনিক ভবন এলাকায় চকশ্রীকৃষ্ণপুর, কুলবেড়্যা ও নিমতৌড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। নবনির্মিত প্রশাসনিক ভবন এলাকায় নিকাশি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় মানুষজনের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এদিন সকাল ১০টা নাগাদ স্থানীয় মানুষজন নিমতৌড়ি থেকে তমলুক শহরে ঢোকার রাস্তা অবরোধ করেন। আড়াই ঘণ্টা ধরে সেই অবরোধ চলে। বেহাল নিকাশি দ্রুত সমাধানের দাবিতে দেবপ্রসাদ ভৌমিক, অনিল সামন্ত, সামসাদ খান ও নিলু পড়িয়া সহ অনেকেই সেই অবরোধে শামিল হন। তমলুক থানার ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধ তোলেন।
তমলুক পৌর নাগরিক সমিতির সভাপতি রণজিৎ জানা বলেন, ঐতিহাসিক তমলুক শহরের বেশিরভাগ ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ৮, ১০, ১৯, ১৮ ও ২০নম্বর ওয়ার্ড একেবারে জল থইথই অবস্থা। অবিলম্বে নিমতলা মোড় থেকে মানিকতলা পর্যন্ত হাইড্রেনের কাজ শেষ করতে হবে। নিয়ম করে শহরের ভিতর হাইড্রেন ও ছোট ড্রেন সাফাই করতে হবে। জমা জল থেকে যাতে ডেঙ্গু বাহিত মশা না ছড়িয়ে পড়ে সেদিকে পুরসভাকে উদ্যোগ নিতে হবে।