কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এবিষয়ে কাটোয়ার মহকুমা শাসক সৌমেন পাল বলেন, আমরা ওই মহিলাকে যেকোনও প্রকল্পে যাতে নতুন ঘর তৈরি করে দেওয়া যায়, সেই বিষয়টি দেখছি।
জানা গিয়েছে, কাটোয়া-১ ব্লকের গোপখাঁজি গ্রামের বাসিন্দা মন্দিরা চক্রবর্তী দীর্ঘদিন ধরে কোনওরকমে এক কামরার বেড়া দেওয়া ঘরে তাঁর দুই ছেলেকে নিয়ে বাস করছেন। ১৫ বছর আগে তাঁর স্বামী মন্দিরাদেবীকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তিনি দুই ছেলেকে নিয়ে সেলাই করে খুব কষ্ট করে সংসার চালান। তাঁর ভাঙা ঘরে বর্ষায় জল পড়ে। দিন কয়েক আগে প্রতিবেশীদের কাছে নম্বর নিয়ে ৩ আগস্ট মন্দিরাদেবী দিদিকে বলোতে ফোন করে ভাঙা ঘর সারানোর আর্জি জানান। এরপর তিনি দিনকয়েক আগে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি কালীঘাটে চলে যান। সেখানে গিয়েও তিনি তাঁর দুরাবস্থার কথা জানান। এরপর খোদ মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানাতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
এদিন সকালে কাটোয়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কণিকা বাইন সরকার, পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি চন্দ্রাণী মণ্ডল এবং কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রঞ্জিত কুমার মণ্ডল ওই মহিলার বাড়ি গিয়ে তাঁকে দ্রুত যেকোনও সরকারি প্রকল্পে নতুন ঘর তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। আর এমন আশ্বাস পেয়ে মন্দিরা চক্রবর্তী বলেন, আমি স্বপ্নেও কোনওদিন কল্পনা করতে পারিনি যে আমার আর্জি মুখ্যমন্ত্রী শুনে সমস্যার সমাধান করে দেবেন। আমি আমার দুই ছেলেকে নিয়ে খুব অভাবের সঙ্গে দিন কাটাচ্ছি।
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলেন, আমাদের কাছে নির্দেশ এসেছিল ওই মহিলার জন্য কিছু একটা ব্যবস্থা করার। যেহেতু বাংলা আবাস যোজনার তালিকায় ওই মহিলার নাম নেই, তাই আমরা ঠিক করেছি যেকোনও প্রকল্পে ওই মহিলাকে ঘর তৈরি করে দেব।
রঞ্জিতবাবু বলেন, সত্যিই ওই মহিলার ঘর বাস করার উপযুক্ত নয়। তা সত্ত্বেও কেন যে বাংলা আবাস যোজনার তালিকায় ওই মহিলার নাম নেই সেটা আশ্চর্যের বিষয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপখাঁজির বাসিন্দা মন্দিরা চক্রবর্তীর বাপেরবাড়ি বীরভূম জেলার রামপুরহাটের কুসুম্বা গ্রামে। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর মামারবাড়ির প্রতিবেশীও। কাটোয়ার দাঁইহাটের বাসিন্দা দিলীপ চক্রবর্তীর সঙ্গে ২৫ বছর আগে বিয়ে হয় মন্দিরাদেবীর। বিয়ের পর থেকে কর্মসূত্রে স্বামীর সঙ্গে দিল্লিতে থাকতেন তিনি।
কাটোয়া-১ বিডিও মহম্মদ বদরুদ্দোজা বলেন, কিছুদিন আগে জেলা প্রশাসন আমাদের ওই মহিলার বিষয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছিল। আমরা ওই মহিলাকে যাতে যেকোনও সরকারি প্রকল্পে নতুন ঘর তৈরি করে দেওয়া যায় সে বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি।