কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জিতেন্দ্র তেওয়ারি আসানসোলের মেয়র, তৃণমূলের জেলা সভাপতির পাশাপাশি পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়কও। এই হাইপ্রোফাইল নেতা কিন্তু রাত্রিযাপনের জন্য অত্যন্ত দরিদ্র্র পরিবারের ঘরগুলিকেই বেছে নিয়েছেন। প্রথমবারের মতো শুক্রবারও তিনি রাত্রিযাপন কর্মসূচি পালন করলেন পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা এলাকার লাউদোহার কালীয়াগঞ্জের গুণধর মুর্মুর বাড়িতে। আদিবাসী এই পরিবারের না আছে ভালো বাড়ি, না আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য। কিন্তু বিধায়কের আতিথেয়তার কোনও ঘাটতি রাখেনি। আলু ভাজা, ঢেঁড়শ ভাজা, এমনকী মেয়রের পছন্দের দইও তুলে দিয়েছিল তাঁর পাতে। আর এতেই আপ্লুত জেলা সভাপতি চারটের পরিবর্তে খেয়ে নেন পাঁচটি রুটি। আদিবাসী পরিবার জানায়, প্রায় ৪৫ বছর আগে জঙ্গল থেকে কাঠ কুড়িয়ে বানানো বাড়িই তাঁদের এখনকার আবাসস্থল। একইভাবে বিধায়ককে দেখা যায় পরিবারের ছোট সদস্যকে দিদির হেল্পলাইন নম্বর মুখস্থ করাতে। তিনি বলেন, এটা একটা নেশায় পরিণত হচ্ছে। সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলি অফিসে বসে শোনা আর তাঁদের বাড়িতে এসে উপলব্ধি করা আকাশ জমিন ফারাক। চেষ্টা করব এই উপলব্ধিগুলিকে পরিকল্পনা রূপায়ণে কাজে লাগাতে।
অন্যদিকে সুইডি গ্রামে গিয়ে একরাশ অভিযোগের মুখে পড়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা আসানসোল উত্তরের বিধায়ক মলয় ঘটক। কিন্তু তিনি থেমে থাকেননি। এলাকার প্রসিদ্ধ চিকিৎসক গতিকা রঞ্জন মিত্রর বাড়িতে রাত কাটালেন বিধায়ক। যে বাড়িতে এক সময়ের এই প্রখ্যাত চিকিৎসকের কাছে রাত কাটিয়েছেন বিধানচন্দ্র রায়ের মতো ব্যক্তিত্ব সেই রুমে রাত কাটিয়ে অভিভূত মলয়বাবু। এর পাশাপাশি একাধিক বস্তি এলাকাতেও তিনি গিয়ে সময় কাটান। মলয়বাবু বলেন, এটা এক বিরল অভিজ্ঞতা। মানুষের সমস্যার কথা শুনছি। তা উপলব্ধি করে সমাধানের চেষ্টা করছি। অন্যদিকে রবিবার থেকেই এই কর্মসূচি শুরু করতে চলেছেন কুলটির বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। বুড়িয়া, লালবাজার এলাকায় তিনি দিদিকে বলো কর্মসূচির প্রচার করবেন। বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় বুধবার রূপনারায়ণপুর এলাকায় রাত্রিযাপন করবেন। শুক্রবার দুর্গাপুর পূর্ব বিধানসভা এলাকার বাবনাবেড়া এলাকায় রাত্রিযাপন করেন তৃণমূল নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায়। আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন খুব দ্রুত তিনি দ্বিতীয় পর্যায়ের রাত্রিযাপন কর্মসূচি সম্পন্ন করবেন।