কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ইন্দাসের বিডিও মানসী ভদ্র চক্রবর্তী বলেন, পরীক্ষাপাড়ায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সাময়িকভাবে খাবার দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরির জন্য ব্লক বিপর্যয় মোকাবিলা আধিকারিককে গ্রামে পাঠানো হয়েছে। তিনি রিপোর্ট দিলে তা জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হবে।
স্থানীয় মঙ্গলপুর গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুকান্ত সরকার বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি খুবই দরিদ্র। নতুন করে বাড়ি তৈরি করার মতো তাঁদের সামর্থ্য নেই। তাই সরকারি প্রকল্পে যাতে তাঁদের বাড়ি তৈরি করা যায় তার জন্য আমরা প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব পাঠাব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেল থেকে এলাকায় ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। সন্ধ্যা নাগাদ পরীক্ষাপাড়া গ্রামের উপর দিয়ে আচমকা একটি ঝোড়ো হাওয়া প্রচণ্ড বেগে বয়ে যায়। কয়েক সেকেন্ডের ঝড়ে সব লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। তাতে গ্রামের দাসপাড়ার সুনীল রুইদাস, উত্তম রুইদাস, হারাধন রুইদাস, বিল্টু রুইদাস সহ প্রায় ২০জনের মাটির বাড়ির চাল উড়ে যায়। এছাড়াও সেখানে থাকা একটি পোলট্রি শেড ধসে যায়। অধিকাংশ ঘরের খড় ও টিনের ছাউনি উড়ে যায়। ঝড়ে একটি বাড়ির চাল উড়ে গিয়ে পুকুরে পড়ে। কয়েকটি বাড়ির দেওয়ালও ধসে পড়ে। তাতে চাপা পড়ে অসিত রায় নামে এক যুবক জখম হন। ঘটনায় গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। দুর্গত পরিবারে আতঙ্ক ছড়ায়। আশ্রয়হীন হয়ে পড়ায় রাতেই স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা দুর্গত পরিবারের সদস্যদের থাকার জন্য স্থানীয় একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র খুলে দেন। সেখানে মুড়ি, চানাচুর সহ শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও পঞ্চায়েত থেকে ত্রিপলের ব্যবস্থা করা হয়।
পরীক্ষাপাড়ার বাসিন্দা সুনীল রুইদাস বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় ঝেপে বৃষ্টি নামায় আমরা বাড়িতেই ছিলাম। আচমকা একটি ঝোড়ো হাওয়া গ্রামের উপর দিয়ে প্রবল গতিতে বয়ে যায়। কয়েক সেকেন্ডের ঝড়ে সব লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। আমার বাড়ির খড়ের চাল উড়িয়ে নিয়ে চলে যায়। ভয়ে সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের সকলে বাইরে বেরিয়ে আসি। ততক্ষণে প্রতিবেশী অনেকেরই বাড়ির চাল উড়িয়ে দেয়। দেওয়াল চাপা পড়ে একজন জখম হয়েছে। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে পুলিস ও প্রশাসনের লোকজন আসে।
বাসিন্দা পীরু রুইদাস বলেন, আমরা গরিব মানুষ। দিনমজুরি করে সংসার চালাই। ঝড়ে ঘর ভেঙে গেল। থাকার জায়গা নেই। এখন পরিবার ছেলে মেয়ে নিয়ে কোথায় যাব বুঝতে পারছি না। সরকার থেকে ত্রিপল দিয়েছে। কিন্তু, তাতে আর কদিন চলবে। ঘরে থাকতে গেলে পাকাপোক্ত ছাউনি দরকার। প্রশাসনের লোকজনকে সেকথা জানিয়েছি।