পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বীরভূম জেলায় খাতায়কলমে রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগ। নেই কোনও আধুনিক সরঞ্জাম। পেশাদার ডুবুরিও অমিল। অন্যান্য পরিকাঠামোর অবস্থা তথৈবচ। ব্লক স্তরে ডুবুরির ট্রেনিং নেওয়া ছেলে আছে। কিন্তু, তাঁদের কাছে কোনও সরঞ্জাম নেই। নিয়ম করে প্রশিক্ষণও তাঁদের হয় না। ফলে, কোনও ঘটনা ঘটলে নদীয়ার হরিণঘাটা বা দুর্গাপুরে ডুবুরির খোঁজে আবেদন জানানো হয়। ফলে, কোনও নদী বা পুকুরে কেউ ডুবে গেলে বিপর্যয় মোকাবিলা দলের বদলে পুলিস স্থানীয় জেলে বা গ্রামবাসীদের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়। ফেলা হয় মাছ ধরার জাল। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের ডুবুরি কখন আসবেন, কোথায় তাঁদের পাওয়া যাবে, বা এলেও তাঁরা দেহ খুঁজে পাবেন কিনা, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের সন্দেহ থেকে যায়। পুলিসও ততটা ভরসা করে বলে মনে হয় না।
উল্লেখ্য, মাসখানেক আগে রামপুরহাটের নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাইকপাড়া গ্রামে পাথর খাদানে বাবা-মায়ের সঙ্গে স্নান করতে গিয়ে জলে তলিয়ে যায় তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী সাফিনা খাতুন। তার খোঁজে এসডিও অফিসে ডুবুরির আবেদন করা হয়েছিল। ডুবুরিও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল। কিন্তু পরদিন তাঁরাই উদ্ধার করেছিলেন তলিয়ে যাওয়া মৃতদেহ। অন্যদিকে, দিন ২০ আগে পাইকরের রুদ্রনগরে বন্ধুদের সঙ্গে স্নান করতে নেমে কাঁদরের জলে তলিয়ে যায় বছর ১২-র কিশোর খাবির শেখ। সেক্ষেত্রে বিডিওর মাধ্যমে ডুবুরিদের খবর দেওয়া হয়। যদিও পরের দিন ডুবুরি আসার আগেই গ্রামের জেলে ও স্থানীয় বাসিন্দারা তার দেহ উদ্ধার করেন। গত ১৩ জুলাই রামপুরহাটের চাকপাড়া বামদেব বিদ্যাপীঠের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী মামণি মাল ক্যানেলের জলে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় বিস্তর কাঠখড় পুড়িয়ে গ্রামের জেলেরাই তলিয়ে যাওয়া দেহ উদ্ধার করে। অন্যদিকে গত ৩ আগস্ট তারাপীঠ মন্দির চত্বরের জীবিতকুণ্ডর পুকুরের জলে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যান যীশু চক্রবর্তী (৩২) নামে অসম থেকে আসা এক পুণ্যার্থী। স্থানীয় জেলেদের ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সব মিলিয়ে বিপদে জেলেরাই সাধারণ মানুষের ভরসা। তবে, এই সমস্যা শুধু বীরভূমের নয়। রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় একই চিত্র বলে জানান এক প্রশাসনিক কর্তা।
শুক্রবার কলকাতায় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মন্ত্রী জাভেদ খানের সঙ্গে দেখা করে সমস্যা তুলে ধরেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে ২৭-৩১ আগস্ট পর্যন্ত তারাপীঠে চারজন প্রশিক্ষিত ডুবুরি থাকবেন। এছাড়া আবেদনে সাড়া দিয়ে বীরভূমে স্থায়ী কয়েকজন ডুবুরি রাখার ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছেন জাভেদ খান। রাজ্যের প্রতিটি জেলায় প্রশিক্ষিত ডুবুরি রাখা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন বলে দাবি কৃষিমন্ত্রীর।