বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এডিডিএর চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় এনিয়ে মুখে কুলুপ আঁটলেও বিরোধী দলগুলি এনিয়ে সরব হয়েছেন। বিজেপি-সিপিএম একযোগে এনিয়ে শাসক দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, যে দলটা দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে, সেই দলের বিধায়ক আবার বিক্ষোভ করছেন মানুষের কাজ নিয়ে। আসলে ভাগবাটোয়ারা নিয়ে সমস্যা হওয়ায় মানুষের সমস্যা নিয়ে আন্দোলনের নামে ‘আইওয়াশ’ করা হচ্ছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ লেগেছে। চরম নৈরাজ্যের পথে যাচ্ছে দলটা। এখন শুধু দেখার সময়।
তৃণমূল জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, পুরো বিষয়টি দলীয় স্তরে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। মনে রাখতে হবে দলের ঊর্ধ্বে কেউ নয়।
মঙ্গলবার হঠাৎই আসানসোলের এডিডিএ অফিসের সামনে নিজের অনুগামীদের নিয়ে হাজির হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পর্ষদেরই ভাইস চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, কুলটির বিএনআর মোড় থেকে সেলিব্রেশন ম্যারেজ হল পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় কোনও পাকা ড্রেন নেই। ওই এলাকায় প্রায় ৬০০ পরিবারের বাস রয়েছে। বাড়িগুলি অত্যন্ত নিচু। অন্যদিকে জিটি রোড অনেক উঁচু হয়ে গিয়েছে। ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে সমস্যায় রয়েছেন এলাকাবাসী। সেই সময়ে তাও একটি কাঁচা ড্রেন দিয়ে জল বেরিয়ে যেত। কিন্তু, সেই ড্রেনের সামনে রাস্তার উপর একটি পেট্রল পাম্প হয়ে যাওয়ায় সেই জলও বের হয় না। তাই অল্প বৃষ্টিতে বাড়িগুলি জলমগ্ন হয়ে যায়। যেহেতু বড় প্রকল্প নিতে হবে, তাই মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে হয়। এমনকী, বলা হয় পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকেও।
বিধায়কের দাবি, দু’বছর আগে পুরমন্ত্রী জিটি রোডের পাশে হাইড্রেন করার জন্য এডিডিএকে চার কোটি ১১ লক্ষ টাকা পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। কিন্তু, কাজের কাজ কিছু হয়নি।
এডিডিএর একটি বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, টেন্ডার করে এজেন্সিকে দিয়ে কাজ শুরু করানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ইঞ্জিনিয়াররাও জায়গা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। কিন্তু, পিডব্লুডির অধীনে থাকা জায়গায়টি দখল করে স্থায়ী নির্মাণ হয়েছে। এর জন্য কাজ শুরু করা যায়নি।
এবিষয়ে উজ্জ্বলবাবুর অভিযোগ, এডিডিএ প্রশাসনিক সংস্থা। তারা কেন জবরদখল ওঠাতে পদক্ষেপ নেবে না? তিনি বলেন, পুলিস জানিয়েছে, এডিডিএ চাইলে সেই কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেবে। তার আগে তাঁদের চিঠি করতে হবে। কিন্তু, সেই চিঠিও সংস্থা করছে না। যার জেরে টাকা ফেরত গিয়েছে।
নিজের দপ্তরের বিরুদ্ধেই আন্দোলনে নেমে ভাইস চেয়ারম্যান সংস্থার কর্ম পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। এর পাশাপাশি দলেও অস্বস্তি বেড়েছে। যদিও উজ্জ্বলবাবুর দাবি, সাধারণ মানুষের জন্যই তাঁর এই লড়াই। এলাকার বাসিন্দা শৈলেন মজুমদার, সঞ্জীব পাল বলেন, আমাদের খুবই সমস্যা হয়। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।