কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কর্মী ও সহায়িকা পদে মোট পদ রয়েছে ৫১৯১টি। এরমধ্যে জেলা সিলেকশন ও মনিটরিং কমিটির আওতাভুক্ত স্বাভাবিক কোটা অনুযায়ী পদের সংখ্যা ৪৯১৪টি। জেলায় এই পদের নিরিখে কর্মী রয়েছেন ৪৫০৩জন। অর্থাৎ নতুন করে ৪১১টি পদের জন্য কর্মী নিয়োগ করবে প্রশাসন। অন্যদিকে, জেলায় সহায়িকা পদে রয়েছেন ৪০৮৩জন। এই পদেও ৮৩১জনকে নিয়োগ করা হবে। জেলায় শুধুমাত্র সরকার পোষিত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতেই কর্মী ও সহায়িকা পদে নিয়োগ হবে। সহায়িকা পদের জন্য অষ্টম শ্রেণী পাশ হতে হবে। এছাড়া কর্মীপদের আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক পাশ হতে হবে। দুই পদে আবেদনের জন্য চাকরিপ্রার্থীর বয়সসীমা ১৮-৪৫বছর হতে হবে।
জেলা প্রকল্প আধিকারিক বলেন, রামপুরহাট ও সিউড়ি মহকুমায় আবেদনকারী প্রার্থীদের আবেদনপত্র বর্তমানে স্ক্রুটিনি করে দেখা হচ্ছে। আগামী ১৯আগস্টের বৈঠকে বোলপুর মহকুমার নিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রশাসনের দাবি, সিউড়ি ও রামপুরহাট মহকুমায় লোকসভা ভোটের আগেই কর্মী ও সহায়িকা পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেইমতো ওই পদের জন্য প্রার্থীরা আবেদন করেছিলেন। কিন্তু, বোলপুর মহকুমায় আগের রেজ্যুলিউশন অনুযায়ী পদে উন্নীতকরণের কাজ আটকে থাকায় নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। বোলপুর মহকুমাতেও অবিলম্বে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কর্মী ও সহায়িকা পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, গতমাসে রাজ্য সরকারের তরফে বীরভূম সহ বাঁকুড়া, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, কোচবিহার ও মুর্শিদাবাদ জেলায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কর্মী ও সহায়িকা পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য নির্দেশিকা পাঠানো হয়। সেইজন্য সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং ও সিলেকশন কমিটির চেয়ারম্যান সহ সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করে নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেইমতো বীরভূমে ওই প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বীরভূমে ৪৯৩০টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চালু রয়েছে। জেলায় বহু কেন্দ্র রয়েছে যেখানে কোথাও কর্মী, আবার কোথাও সহায়িকা পদে কোনও লোক নেই। দীর্ঘদিন ধরে শূন্যপদ নিয়ে সেইসব কেন্দ্র চলে আসছে। প্রশাসনের তরফে একাধিক ব্যক্তিকে দু’টি করে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া রয়েছে। তারফলে সংশ্লিষ্ট কর্মী বা সহায়িকাকে যেমন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে, তেমনি পরিষেবা নিয়েও ঘাটতি থাকছে। তাছাড়া বহু জায়গায় অধিকাংশ কেন্দ্রগুলির বেহাল দশা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে তা চলছে। তার জেরে দিনের পর দিন কেন্দ্রগুলিতে শিশু ও প্রসূতি উপভোক্তার সংখ্যা কমতে চলেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কর্মী ও সহায়িকা নিয়োগের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির পরিকাঠামোর দিকে নজর দেওয়া উচিত। এছাড়াও শিশু ও প্রসূতিদের জন্য খাবারের গুণগত মান বৃদ্ধির দাবিও জানানো হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা রাখারও দাবি বাসিন্দাদের। দপ্তরের অবশ্য দাবি, পরিকাঠামোগত কিছু ত্রুটি থাকলেও খাবারের মান স্বাভাবিক রাখার জন্য সর্বদা নজরদারি করা হয়।
রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী তথা আইসডিএস-এর বীরভূম জেলা সিলেকশন ও মনিটরিং কমিটির চেয়ারম্যান চন্দ্রনাথ সিনহাকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। এসএমএস-এরও জবাব পাওয়া যায়নি। তবে, ওই কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান তথা সিউড়ির বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ভোট সহ নানা কারণে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নিয়োগ প্রক্রিয়া পিছিয়ে ছিল। যাতে শীঘ্রই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় সেই বিষয়টি দেখা হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের নিয়োগে সেখানকার আবেদনকারীকেই প্রাধান্য দেওয়া হতে পারে। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ হবে।