কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার খড়গ্রাম থানার বালিয়াহাট গ্রামের তৃণমূলের বুথ সভাপতি মাইনুল শেখ দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওই ঘটনায় বালিয়াহাট গ্রামের জাকির শেখকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। তিনি বর্তমানে পুলিস হেফাজতে রয়েছেন। এদিকে ধৃত জাকির শেখের আত্মীয় নাসের শেখ চন্দ্রসিংহবাটি গ্রামে থাকেন। অভিযোগ, এদিন বিকেলে জখম তৃণমূল নেতা মাইনুল শেখের ঘনিষ্ঠ শাসকদলের নেতা রেজাউল শেখ চন্দ্রসিংহবাটি এসেছিলেন। সেই সময় নাসেরের সঙ্গে রেজাউলের বচসা শুরু হয়। জানা গিয়েছে, নাসের রেজাউলের উদ্দেশে জাকিরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। মিথ্যা অভিযোগ করে ফাঁসানোর প্রতিবাদ করেন।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, বচসার সময় নাসের রেজাউলকে মারধর করেন। পরে স্থানীয়রা মিটমাট করে দেন। এর কিছুক্ষণ পর রেজাউলের লোকজন নাসেরের বাড়িতে এসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। তাঁর আত্মীয়দের বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। এরপরেই বোমাবাজির ঘটনা ঘটে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, এদিন প্রায় সাতটি বোমা ফাটানো হয়েছে। নাসেরর পরিবারের তিনজন জখম হয়েছেন। তার মধ্যে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীও রয়েছে। কাবিরুন খাতুন নামে ওই ছাত্রীর আঘাত গুরুতর বলে জানা গিয়েছে। তাকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও বোমার আঘাত লাগায় জেলেসা বিবি ও বিপুরুন্নেশা বিবিকেও ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপরদিকে, তৃণমূল নেতা রেজাউল শেখের ঘনিষ্ট ফিরোজ শেখকেও কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নাসেরর পরিবারের অভিযোগ, এদিন দু’পক্ষের মধ্যে বচসা ও হাতাহাতির পর এলাকার মানুষজন তা সাময়িকভাবে মিটমাট করে দেন। কিন্তু এরপর রেজাউলের ঘনিষ্ঠরা সেখানে এসে যথেচ্ছ বোমাবাজি করে, বাড়ি লুটপাট চালায় ও ভাঙচুর করে।
এব্যাপারে তৃণমূলের কান্দি মহকুমা সভাপতি গৌতম রায় বলেন, আমরা পুলিসকে বলেছি, যারা বোমাবাজির ঘটনায় জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। কে কোন দল করছে, দেখার প্রয়োজন নেই। এদিনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খড়গ্রাম থানার পুলিস জানিয়েছে, বোমাবাজির ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। দোষীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হবে। তবে গ্রামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।