রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
শঙ্করবাবু বলেন, সবাইকে সচেতন করার জন্যই পথে বেরিয়েছি। কাজে না বেরনোয় আমার আর্থিক লোকসান হচ্ছে। বাড়িতে এক মেয়ে এবং স্ত্রী রয়েছে। বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। খুব কষ্টেই আমার সংসার চলে। কিন্তু, সমাজকে বাঁচানোর জন্য কাউকে না কাউকে তো এগিয়ে আসতেই হবে। এই চিন্তা নিয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়েছি। অনেকে এসব দেখে আমাকে পাগল বলে। কিন্তু তাতে আমার কিছু আসে যায় না। স্কুলের ছেলেমেয়েদের গাছ লাগানোর উপকারিতা বুঝিয়ে বলি। তাতে অনেকে সাড়া দিয়েছে।
শঙ্করবাবু বলেন, রাস্তায় লোকজন না দাঁড়ালে মাইক্রোফোন হাতে গান ধরি। তা শুনে অনেকেই দাঁড়িয়ে যান। গানে গানে তাঁদের গাছ লাগানো ও জল নষ্ট না করারও বার্তা দিই। অনেকে শোনেন, আবার অনেকে পাশ কাটিয়ে চলে যান।
মঙ্গলবার জেলাশাসকের অফিস থেকে কিছুটা দূরে আপন খেয়ালে গাছ নিয়ে গান ধরেছিলেন শঙ্করাবু। তাঁকে দেখে পথচলতি লোকজন দাঁড়িয়ে যান। মাঝবয়সি এক ব্যক্তি বলেন, এরকম কিছু লোকজন আছে বলেই হয়তো সমাজটা এখনও চলছে। নিজের কাজ ফেলে রেখে তিনি সমাজের কথা ভাবছেন। পৃথিবীকে বাঁচানোর জন্য সবারই এগিয়ে আসা উচিত।
সুদেষ্ণা দে নামে এক মহিলা বলেন, গাছ কমে যাওয়ায় উষ্ণায়নের প্রভাব পড়ছে। সবাই যদি এভাবে গাছ লাগানোর শপথ নিই তাহলে হয়তো সমাজ বেঁচে যাবে। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মণ্ডল বলেন, শঙ্করবাবুর এই উদ্যোগ সত্যিই অভিনব। গাছ লাগানোর জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
শঙ্করবাবু বলেন, গাছ ধ্বংস করলে কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে তা গানে গানে তুলে ধরি। গাছ কমে যাওয়ার প্রভাব আমরা টের পাচ্ছি। আগামীদিনে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হবে। ভূগর্ভস্থ জলও কমে যাচ্ছে, জলের সঙ্কট বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে। তাই জল অপচয় না করারও আহ্বান জানাই। ইচ্ছা হলেই প্ল্যাকার্ড আর মাইক্রোফোন হাতে বেরিয়ে পড়ি। আশা করি, একদিন না একদিন সবারই শুভবুদ্ধির উদয় হবে। আমার মতো সবাই যদি বাড়িতে ‘জঙ্গল’ তৈরি করে তাহলে আর আমাদের চিন্তা করতে হবে না।